আমন্ড (Almond) স্বাস্থ্যর জন্য কতটা উপকারী
গুণাবলী ও সুবিধা
আমন্ডে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, জিঙ্ক, কপার, সেলেনিয়াম, আয়রন এবং ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে যা শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। ও ফাইবার, প্রোটিন ,স্বাস্থ্যকর চর্বি হৃদয়কে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।
এর ফলে স্মৃতিশক্তি বাড়ে, হৃদয়ের স্বাস্থ্য উন্নত হয়, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে এবং শ্বাসকষ্ট কমায়। এছাড়াও, খোসায় বিদ্যমান ফাইবার ও ফ্ল্যাভোনয়েড পেট পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে এবং এটি ত্বক ও চুলের জন্যও উপকারী।
প্রতিদিন কত পরিমাণ বাদাম খাওয়া উচিত
বিশেষজ্ঞরা সাধারণত প্রতিদিন ২ থেকে ৪টি আমন্ড খাওয়ার সুপারিশ করেন, যা শরীরের জন্য লাভজনক। এবং এই পুষ্টিকর খাদ্য নিয়মিত পরিমাণে গ্রহণ করলে শরীর ও মস্তিষ্কের জন্য অনেক উপকার বয়ে নিয়ে আসে।
গ্রহণের উপায়
সকালে খালি পেটে ভিজিয়ে রাখা আমন্ড খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী বলে মনে করা হয়। এছাড়াও এটা খোসা ছাড়িয়ে অথবা খোসা সহ দুইভাবে খাওয়া যেতে পারে, কারণ খোসায় প্রচুর পুষ্টি থাকে যা শরীরের জন্য উপকারী।
আমন্ডের (Almond) উপকারীতা
১. এটি হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাসে সহায়ক, কারণ আমন্ড খাওয়ার ফলে খারাপ কোলেস্টেরল কমে যায় এবং ভালো কোলেস্টেরল বজায় থাকে।
২. এটি ফাইবার হজমশক্তি বৃদ্ধি করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে কার্যকর।
৩. এতে উপস্থিত ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মস্তিষ্কের কার্যকারিতা ও স্মৃতিশক্তি উন্নত করতে সহায়তা করে।
৪. এর মধ্যে প্রোটিন এবং ক্যালসিয়াম বিদ্যমান থাকায় এটি দেহকোষের গঠন, শিশুদের বৃদ্ধি এবং হাড়ের শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়ক।
৫. নিয়মিত আমন্ড খাওয়া ক্ষুধা কমাতে সহায়ক, ওজন নিয়ন্ত্রণে সুবিধা প্রদান করে এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্য রক্ষা করে।
৬. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, কারণ এতে ভিটামিন সি, সেলেনিয়াম এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বিদ্যমান।
৭. রক্তের শর্করার স্তর নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
৮. এতে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস থাকার ফলে হাড় ও দাঁত শক্তিশালী হয়।
বিশেষ পরামর্শ
কাঠবাদাম বা আমন্ড একটি স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর খাদ্য, যা নিয়মিত ও সঠিক পরিমাণে খেলে মনের ও শরীরের জন্য অনেক ভালো ফল দেয়। এছাড়াও আমন্ড সুস্থ থাকার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে যাদের বাদামের প্রতি অ্যালার্জি রয়েছে, তাদের অবশ্যই সচেতন থাকতে হবে।