আমের (Mango) মধুর স্বাদ এবং পুষ্টিকর গুণাবলি দিয়ে মুখর হোক আপনাদের দিন
আম (Mango): বিশ্বের ও গ্রীষ্মের সেরা ফল। আমের মৌসুম বছরের সবচেয়ে আনন্দের সময়। আম হলো ফলের মুকুট রত্ন। আমের বৈজ্ঞানিক নাম হল ম্যাঙ্গিফেরা ইন্ডিকা। বৃহৎ আকারের ৩০ মিটার পর্যন্ত লম্বা আম গাছ হতে পারে। রসালো অর্ধ বৃত্তাকার হলুদ, সবুজ ,বা লাল রঙের হয়ে থাকে। ভারত, পাকিস্তান ও ফিলিপাইনের জাতীয় ফল আম।
আমের ব্যবহার: কাঁচা বা পাকা অবস্থায় খাওয়া যায়। ফল,জুস,জ্যাম,মিল্ক শেক, জুস,চাটনি, আম ভর্তা,আমসত্ত্ব, মোরব্বা, আচার হিসেবে খাওয়া যায়।
বিশেষ টিপস:
আম সকালে বা শরীর চর্চার পরে খাওয়া ভালো।
রাতে আম না খাওয়াই ভালো।
দিনে বেশি পরিমাণে আম না খাওয়াই ভালো।
ডায়াবেটিস , কিডনি ও অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী আম খাবেন।
আমের পুষ্টিগুণ:
আম গাছ বিভিন্ন পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ যেমন ভিটামিন এ,সি, ই ,কে ও ফোলট আমের অনেক ঔষধি গুন রয়েছে। যেমন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ও ত্বকের উজ্জলতা বাড়ায়। আম গাছের ছাল ও পাতা ঐতিহ্যগত ওষুধে ব্যবহৃত হয়। ভিটামিন, খনিজ ও ফাইবার সমৃদ্ধ।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি:
ভিটামিন সি,এ, ও অন্যান্য এন্টিঅক্সিডেন্ট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
দৃষ্টিশক্তি:
ভিটামিন এ দৃষ্টি শক্তির উন্নতি করে। আমাদের দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে আম সাহায্য করে।
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি:
ভিটামিন সি ও এ ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়।
ফাইবার হজম প্রক্রিয়াকে সহজ করে, আমাদের হজম শক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে।
ত্বকের ও চুলের স্বাস্থ্য:
ভিটামিন এ ও সি ত্বক ও চুলের জন্য উপকারী। আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে ও ত্বকের বাধ্যক্যজনিত লক্ষণ গুলির বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে। ব্ল্যাকহেড দূর করা পাকা আম মুখের কালো দাগও ব্ল্যাকের দূর করতে সাহায্য করে।
হৃদরোগ:
হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে!
এছাড়াও এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে যেমন-প্রদাহ বিরোধী বৈশিষ্ট্যের সমৃদ্ধ,রক্তনালি শক্তিশালী করে।
সতর্কতা: আম একটি জনপ্রিয় ফল যা পুষ্টিগুণে ভরপুর তবে অতিরিক্ত আম খেলে কিছু সমস্যা হতে পারে যেমন ওজন বৃদ্ধি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ক্ষতিকর পেটের সমস্যা ও কিডনির উপর প্রভাব পড়তে পারে।
ওজন বৃদ্ধি:
আমে প্রাকৃতিক শর্করা ফ্রাক্টোজ বেশি থাকে যা ওজন বাড়াতে পারে।
ডায়াবেটিস:
আম খেলে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বাড়ে, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
পেটের সমস্যা:
অতিরিক্ত আম খেলে ডায়রিয়া ও কাঁচা আম বেশি খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হতে পারে।
কিডনির জন্য ক্ষতিকর:
কাঁচা আমে অক্সালেট থাকে যা কিডনির জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
অ্যালার্জি:
কিছু মানুষের আমের প্রতি এলার্জি থাকতে পারে।
হাই ব্লাড সুগার:
পাকা আমে শর্করার পরিমাণ বেশি থাকে যা হাই ব্লাড সুগারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
লো ফাইবার:
কিছু আমের ফাইবার কম থাকে যা হজমের জন্য ভালো নাও হতে পারে।
উপসংহার:
আম একটি পুষ্টিকর ফল কিন্তু আমরা যদি অতিরিক্ত পরিমাণে খায় তাহলে বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে। তাই আম খাওয়ার ক্ষেত্রে পরিমান নিয়ন্ত্রণ করা উচিত। বিশেষ করে যারা ডায়াবেটিস বা কিডনির সমস্যায় ভুগছেন তাদের ক্ষেত্রে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।