কালোজামের গুনে গ্রীষ্ম কাটুক স্বাস্থ্য ও তৃপ্তিতে ভরে
কালোজাম (Black Plum)
শৈশবের সেই রঙিন ঠোঁট আর হাতের দাগ আজও ফিরে আসে প্রতিটি কালোজামের কামড়েই।
কালোজাম শুধু রসালো স্বাদের ফল নয় -এটি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ ,হজম শক্তি বৃদ্ধি ও রক্ত পরিশোধনের অত্যন্ত কার্যকর।
বর্ষাকালে বাজারে আসা এই যাদুকরী ফল কেবল স্বাদে নয় পুষ্টিগুণে ও অতুলনীয়।
প্রাকৃতিক উপহার কালোজাম স্বাদের সঙ্গে স্বাস্থ্য ও এই কালো রঙে ঢাকা স্বাস্থ্যবলে ভরপুর জাম ফলের কাহিনী।
১) কালোজামের ব্যবহার কালোজাম সাধারণত কাঁচা ফল হিসেবে খাওয়া যায়। এছাড়াও এটি রস সালাদ স্মুদি বা জ্যাম তৈরি করেও খাওয়া যেতে পারে।
২) কালোজাম সরাসরি ফল হিসেবেও খাওয়া যায়। এটি মিষ্টি ও সামান্য টক স্বাদের হয়ে থাকে।
৩) জুস বা রস:
কালোজামের রস বের করে খাওয়া যেতে পারে।এটি গরমে আমাদের শরীরকে ঠাণ্ডা রাখতে সাহায্য করে।
৪) সালাদ:
আমরা নানারকমের ফলের সাথে মিশিয়ে সালাদ তৈরি করে খেতে পারি।
৫) জ্যাম বা জেলি:
কালোজাম দিয়ে সুস্বাদু জ্যাম বা জেলি তৈরি করা যায়, যা পাউরুটি বা পরোটার সাথে খাওয়া যেতে পারে।
৬) স্মুদি :
কালোজাম ফলটি অন্যান্য ফলের সাথে মিশিয়ে স্মুদি তৈরি করা যেতে পারে।
৭) কালোজামের বীজ চূর্ণ করে:
কালোজামের বীজ শুকিয়ে গুঁড়ো করে খাওয়া যায়।
পুষ্টি গুণ:
১) গাঢ় বেগুনি এই ছোট্ট ফলের ভেতর লুকিয়ে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ,আয়রন ,ভিটামিন-এ,সি,বি-৬,ফলিক অ্যাসিড, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ।
২) ক্যালসিয়াম আমাদের হাড়ের ক্ষয় রোধ করে।
৩) আয়রন আমাদের রক্তাল্পতা (অ্যানিমিয়া )দূর করতে সহায়ক।
৪) কালোজামে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ফ্রি রেডিকলের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে আমাদের শরীরকে রক্ষা করে।
৫) ভিটামিন সি আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
কালোজামের উপকারিতা:
১) ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ:
কালোজামে উপস্থিত জাম্বোলিন ও জাম্বোসিন নামক উপাদান রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে যা ডায়বেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী।
২) হজম শক্তি বৃদ্ধি:
কালেজামে উপস্থিত ফাইবার আমাদের হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে ও কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে।
৩) হৃদরোগ প্রতিরোধ:
কালো জামে থাকা পটাশিয়াম হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক।
৪) অ্যানিমিয়া প্রতিরোধ:
কালো জামে থাকা আয়রন রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধি করে যা আমাদের অ্যানিমিয়া প্রতিরোধে সাহায্য করে।
৫) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি:
কালো জামে উপস্থিত ভিটামিন সি আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
৬) ত্বকের স্বাস্থ্য:
কালোজাম আমাদের ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে ও ব্রণের সমস্যা কমায়।
কালো জামের বীজ ও পাতা আমাদের দাঁত ও মাড়িকে শক্তিশালী করে ও মুখের দুর্গন্ধ দূর করে।
৮) হাড়ের স্বাস্থ্য:
শৈশবের সেই রঙিন ঠোঁট আর হাতের দাগ আজও ফিরে আসে প্রতিটি কালোজামের কামড়েই।
কালোজাম শুধু রসালো স্বাদের ফল নয় -এটি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ ,হজম শক্তি বৃদ্ধি ও রক্ত পরিশোধনের অত্যন্ত কার্যকর।
৯) কালোজামের ব্যবহার কালোজাম সাধারণত কাঁচা ফল হিসেবে খাওয়া যায় এছাড়াও এটি রস সালাদ স্মুদি বা জ্যাম তৈরি করেও খাওয়া যেতে পারে।
১০) কালোজাম সরাসরি ফল হিসেবেও খাওয়া যায়। এটি মিষ্টি ও সামান্য টক স্বাদের হয়ে থাকে।
১১) জুস বা রস:
কালোজামের রস বের করে খাওয়া যেতে পারে।এটি গরমে আমাদের শরীরকে ঠাণ্ডা রাখতে সাহায্য করে।
১২) সালাদ:
অন্যান্য আমরা নানারকমের ফলের সাথে মিশিয়ে সালাদ তৈরি করে খেতে পারি।
১৩) জ্যাম বা জেলি:
১৪) কালোজাম দিয়ে সুস্বাদু জ্যাম বা জেলি তৈরি করা যায়, যা পাউরুটি বা পরোটার সাথে খাওয়া যেতে পারে।
১৫) স্মুদি:
কালোজাম ফলটি অন্যান্য ফলের সাথে মিশিয়ে স্মুদি তৈরি করা যেতে পারে।
পুষ্টি গুণ:
১) গাঢ় বেগুনি এই ছোট্ট ফলের ভেতর লুকিয়ে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ,আয়রন ,ভিটামিন-এ,সি,বি-৬,ফলিক অ্যাসিড, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ।
২) অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট:
এতে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ও আমাদের কোষকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে।
৩) কালোজামে ফাইবার থাকার কারণে হজমশক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
৪) ভিটামিন ও খনিজ:
কালোজাম ভিটামিন সি, ভিটামিন কে,বি৬,ফলের, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম,আয়রন,করার, সোডিয়াম ও ম্যাগাজিন ও রয়েছে।
৫) ক্যালসিয়াম আমাদের হাড়ের ক্ষয় রোধ করে।
৬) আয়রন আমাদের রক্তাল্পতা (অ্যানিমিয়া) দূর করতে সহায়ক।
৭) কালোজামে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ফ্রি রেডিকলের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে আমাদের শরীরকে রক্ষা করে।
৮) ভিটামিন সি আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
৯) হাড়ের স্বাস্থ্য: কালোজাম আমাদের শরীরের হাড় মজবুত রাখতে সহায়ক।
১০)কালোজামে থাকা ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস আমাদের হাড়কে মজবুত করে ও অস্টিওপোরোসিসের মতো রোগ প্রতিরোধ সহায়ক।
কালোজামের অপকারিতা ও সতর্কতা:
১) রক্তে শর্করার পরিমাণ কম, তাদের জন্য অতিরিক্ত কালোজাম খাওয়া ক্ষতিকর হতে পারে।
২) পেট ফাঁপা বা গ্যাস:
অতিরিক্ত পরিমাণে কালোজাম খেলে অনেক সময় পেট ফাঁপা বা গ্যাসের সমস্যা হতে পারে।
৩) কোষ্ঠকাঠিন্য:
যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য রয়েছে ,তাদের ক্ষেত্রে বেশী জাম খেলে সমস্যা আরো বাড়তে পারে।
৪) রক্তচাপ কমে যাওয়া:
যাদের নিম্ন রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে বেশী জাম খেলে সমস্যা হতে পারে, তাই সাবধানে খেতে হবে।
বিশেষ সতর্কতা:
কালোজাম একটি পুষ্টিকর ফল, যা নিয়মিত পরিমাণে খেলে শরীরের জন্য অনেক উপকার হতে পারে।তবে, কোনোপ্রকার স্বাস্থ্য সমস্যা থাকলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে কালোজাম খাওয়া উচিত।