কুমড়ো(Pumpkin): সুস্থ জীবনযাপনের জন্য উপকারি খাদ্য
উপকারিতা
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো: মিষ্টি কুমড়োয় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও এ বিদ্যমান, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করে এবং সর্দি-কাশি ও ঠাণ্ডা লাগা থেকে রক্ষা করতে সহায়ক।
চোখের সুস্থতা রক্ষা: এতে উচ্চ পরিমাণে বিটা-ক্যারোটিন (ভিটামিন এ) রয়েছে, যা দৃষ্টি স্বাভাবিক রাখতে এবং বয়সজনিত চোখের সমস্যা হ্রাস করতে সাহায্য করে।
ত্বক ও চুলের সৌন্দর্য বাড়ানো: ভিটামিন এ ও সি-এর সঙ্গে ভিটামিন ই থাকার কারণে মিষ্টি কুমড়ো ত্বক এবং চুলকে উজ্জ্বল ও আকর্ষণীয় করে তুলতে সাহায্য করে।
হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি: কুমড়োর মধ্যে যথেষ্ট আঁশ (ফাইবার) থাকায় এটি হজমকে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।
হৃদরোগ ও উচ্চ রক্তচাপের নিয়ন্ত্রণ করে: মিষ্টি কুমড়োতে পটাসিয়াম ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা হৃদরোগের সম্ভাবনা হ্রাস করে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে: এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের উপস্থিতির কারণে ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে: কুমড়ো রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং ডায়াবেটিস আক্রান্তদের জন্য উপকারী।
কুমড়ো বীজ ব্যবহারের পদ্ধতি
কাঁচা অথবা ভাজা হিসেবে উপভোগ করতে পারেন: কুমড়োর বীজ পরিস্কার করে রোদে শুকাতে পারেন। পরে কাঁচা বা কম আঁচে সামান্য লবণ মিশিয়ে ভেজেও উপভোগ করতে পারেন।
সালাদ বা স্যুপের মধ্যে যুক্ত করা যেতে পারে: কুমড়োর বীজ সালাদ, স্যুপ, ইয়োগার্ট বা অন্যান্য খাবারের সাথে মিশিয়ে খাওয়া যায়। এর ফলে খাবারের পুষ্টি বাড়ে এবং একটি মচমচে টেক্সচার যুক্ত হয়।
সকালের খাবার বা স্ন্যাকস হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে : সকালে ওটমিল বা দুধের সঙ্গে কুমড়োর বীজ মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে। এবং বিকেলে মজাদার স্ন্যাক্স হিসেবে ভাজা বীজ চিবিয়ে উপভোগ করা যায়।
কতটা পরিমাণে খাবেন
একজন স্বাস্থ্যবান ব্যক্তি প্রতিদিন ১৫-২০টি (মোটামুটি ২-৩ টেবিল চামচ বা ২০-৩০ গ্রাম) কুমড়োর বীজ গ্রহণ করতে পারেন।
বিশেষ পরামর্শ
কুমড়োর বীজে ক্যালোরি ও ফ্যাটের মাত্রা বেশি হওয়ায় অতিরিক্ত খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। অ্যালার্জি সমস্যা থাকলে, তাদেরকে সাবধান হতে হবে।
বিশেষ তথ্য
কুমড়োর বীজ হার্টের স্বাস্থ্য, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ, প্রদাহ হ্রাস এবং ক্যান্সার প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। এটি একটি পুষ্টিকর সুপারফুড যা প্রতিদিনের খাবারে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।