শসা (Cucumber): গরমে শরীরকে ঠাণ্ডা রাখার জন্য সেরা উপকারি খাদ্য
উপকারিতা
শরীরের জলের অভাব মেটায়: শসায় প্রায় প্রচুর পরিমাণে জল রয়েছে, যা শরীরকে সতেজ রাখে এবং জলের অভাব দূর করে।
কম ক্যালরি ও ওজন হ্রাসে সহায়তা করে : শসার ক্যালরি পরিমাণ খুব কম, ফলে এটি ওজন কমাতে কার্যকর।
ভিটামিন এবং খনিজের উৎস: শসায় ভিটামিন কে, এ, বি এবং সি সহ ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, সিলিকন প্রভৃতি খনিজ রয়েছে, যা হাড়, ত্বক এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করে।
হজমশক্তি উন্নত করে: শসায় অনেক ডায়েটারি ফাইবার উপস্থিত থাকে, যা হজমে সহায়ক ও কোষ্ঠকাঠিন্য নির্মূল করে।
শরীরের বিষাক্ত উপাদান দূর করে: শসা শরীর থেকে বর্জ্য ও বিষাক্ত উপাদান অপসারণ করতে সাহায্য করে এবং কিডনির পাথর গলাতে সহায়তা করে।
ত্বক ও চুলের জন্য ভালো: শসা ত্বককে উজ্জ্বল করে, ব্রণ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে, ত্বকের জ্বালাপোড়া কমায় এবং চুলের বৃদ্ধি বাড়ায়।
চোখের উজ্জ্বলতা বাড়ায়: শসা চোখের পাতায় রাখলে চোখের উজ্জ্বলতা বাড়ে এবং চোখের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
রক্তচাপ ও হৃদপিণ্ডের স্বাস্থ্যে নিয়ন্ত্রণ করে : শসার মধ্যে থাকা পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেশিয়াম উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।
ক্যান্সার প্রতিরোধে উপকারী: শসাতে কিউকারবিটাসিন নামক একটি যৌগ রয়েছে, যা ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি ঠেকাতে সহায়তা করে।
ব্যবহার
শসা মূলত সালাদ, স্যান্ডউইচ, রাইতা নানা ধরনের খাবারে ব্যবহৃত হয়। এবং এটি গরমের সময় অধিক পরিমাণে পাওয়া যায়।
দীর্ঘ সময় ধরে শ্বাসকষ্ট থাকলে কেন শসা খাওয়া উচিত নয়
দীর্ঘ সময় ধরে শ্বাসকষ্ট হলে শসা খাওয়া উচিত নয় কারণ শসা ঠান্ডা প্রকৃতির ফল এবং এটি শরীরে শ্লেষ্মার পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে পারে অথবা সাইনাসের সমস্যা (যেমন সর্দি, কাশি) বৃদ্ধি করতে পারে। যাদের শ্বাসকষ্ট বা শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য শ্লেষ্মা বা কফ বাড়লে শ্বাস নিতে আরও কষ্ট হতে পারে।
বিশেষ পরামর্শ
খাদ্যতালিকায় শসা অন্তর্ভুক্ত করা হলে তা শরীরের আর্দ্রতা, হজম, রোগের প্রতিরোধ, ওজন নিয়ন্ত্রণ, হৃদরোগ ও ত্বকের যত্ন ইত্যাদি নানা দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও প্রতিদিন সামান্য পরিমাণে শসা খাওয়া সুস্থ থাকার জন্য একটি সহজ ও ভালো অভ্যাস।