বীট একটি সুপারফুড
উপকারিতা
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা এবং হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করা: বীটে উপস্থিত প্রাকৃতিক নাইট্রেট শারীরিকভাবে নাইট্রিক অক্সাইডে পরিণত হয়, যা রক্তনালীর প্রসারণ ঘটায় এবং রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করে। এভাবে হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি হ্রাস পায়।
রক্তস্বল্পতা কমানো ও রক্তের পরিমাণ বৃদ্ধি: বীটে পর্যাপ্ত আয়রন আছে, যা রক্তশূন্যতা নিরাময় করতে এবং শরীরে রক্তের মাত্রা বাড়াতে সহায়তা করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করা: বীটের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে মজবুত করে, ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে সাহায্য করে।
হজম এবং পাচন প্রক্রিয়ার উন্নতি: বীটে অধিক ফাইবার বিদ্যমান, যা হজমে সহায়ক, কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করে এবং অন্ত্রের স্বাস্থ্য উন্নত করে।
ওজন নিয়ন্ত্রণ করা : বীটের পুষ্টির পরিমাণ বেশি ও ক্যালোরি কম, তাই এটি ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।
ত্বক ও চুলের সুরক্ষা:বীটের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি ত্বককে উজ্জ্বল এবং দাগমুক্ত রাখতে সহায়ক।
মস্তিষ্কের সুস্বাস্থ্য:বীট রক্তপ্রবাহ বৃদ্ধি করে স্মৃতি ও মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করতে সহায়তা করে।
বীটের ব্যবহারিক দিক
বীট কাঁচা, স্যালাডে, স্যুপে, রস হিসাবে, সিদ্ধ, রোস্ট বা ভাজা করে উপভোগ করা যায়। এবং এর গাঢ় লাল রঙ ও সুবাস বিভিন্ন খাদ্যে ব্যবহারকে মজাদার করে তোলে।
বীটকে ‘সুপারফুড’ হিসেবে চিহ্নিত করার কারণ কী?
বীটে ক্যালোরির পরিমাণ কম, তবে এতে প্রয়োজনীয় ভিটামিন, খনিজ, ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের যথেষ্ট উপস্থিতি রয়েছে। এটি হৃদরোগ, রক্তশূন্যতা, হজমজনিত সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপ, স্ট্যামিনা বৃদ্ধির পাশাপাশি ত্বক ও চুলের যত্নের ক্ষেত্রে কার্যকর। এত গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা ও পুষ্টিগুণের জন্য বীটকে ‘সুপারফুড’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
সতর্কতা ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
বীট খাওয়ার কিছু প্রতিক্রিয়া থাকতে পারে। যদি কারো নিম্ন রক্তচাপ, কিডনিতে পাথর, ডায়াবেটিস, লিভারের সমস্যা এবং এলার্জি থাকে, তাদের বীট খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত। কারণ বীটে পটাশিয়াম রক্তচাপ আরও কমিয়ে দিতে সক্ষম, অক্সালেট কিডনিতে পাথর তৈরি করতে পারে এবং লিভারের ওপর চাপ বৃদ্ধি করতে পারে।
সামগ্রিকভাবে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে যে , বীট একটি পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ এবং সুস্বাদু শাকসবজি, যা নিয়মিত এবং সঠিক পরিমাণে খাওয়া শরীরের জন্য লাভজনক।
বিশেষ তথ্য
বীটের স্বাস্থ্য সুফল দীর্ঘমেয়াদী এবং বেশিরভাগ মানুষের জন্য নিরাপদ। তবে কিডনি সমস্যা, নিম্ন রক্তচাপ বা বিশেষ কোন শারীরিক সমস্যা থাকলে নিয়মিত এবং বেশি বীট খাওয়ার আগে ডাক্তার থেকে পরামর্শ নেওয়া উচিত। সঠিক পরিমাণে এবং নিয়মিত বীট খেলে শরীরের সার্বিক সুস্থতা নিশ্চিত করা সম্ভব।