সবুজ শাকসবজির পুষ্টি ও স্বাস্থ্য উপকারিতা
বেথো শাক এর বৈজ্ঞানিক নাম Chenopodium album (চেনোপোডিয়াম অ্যালবাম ) যা বথুয়া শাক নামেও পরিচিত। শীতকালে এই শাক বেশি পাওয়া যায়।
বেথো শাকের বৈশিষ্ট্য:
এটি একটি খুব পাতলা সবুজ রঙের যা মাঠে বা জমিতে অযত্নে জন্মায়। শীতকালে এর স্বাদ ও পুষ্টিগুণ অনেক বেশি থাকে।
উপাদান:
ভিটামিন এ. সি. কে. পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, জিঙ্ক,ও অ্যামাইনো অ্যাসিড সমৃদ্ধ।
বেথো শাকের ব্যবহার:
শাক হিসেবে রান্না করে, শরবত বানিয়ে খাওয়া যায়।
বেথো শাকের উপকারিতা:
আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
আমাদের পেট ব্যথা ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
আমাদের রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে।
আমাদের পেশি ভর বৃদ্ধি করে।
আমাদের ত্বকের স্বাস্থ্য বজায় রাখে।
আমাদের হাড় মজবুত করে।
আমাদের ক্ষিদে বাড়ায়।
আমাদের হজম শক্তি উন্নত করে।
আমাদের কিডনিতে পাথর হলে উপকারী।
আমাদের দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে।
আমাদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।
আমাদের শরীরের ক্ষতিকর কোলেস্টোরলের মাত্রা কমায়।
বেথো শাকের ঔষধিগুণ:
গরম জলে ত্বকের কোনো অংশ পুড়ে গেলে বা ফোসকা পড়লে ওই অংশে এই শাক বেটে আলতো করে মাখিয়ে দিলে ত্বকের জ্বালা ভাব দ্রুত কমে যাবে।
মুখে ঘা হলে, প্রস্রাবের সমস্যায়, কিডনিতে পাথর হলে, ত্বকের সমস্যায়, পিত্ত ও লিভারের সমস্যায় বা মলাশয়ের সমস্যায় বেথো শাক ওষুধের মতো কাজ করে। তবে সব রকম সমস্যার জন্য ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চলা উচিত।
বেথো শাকের ক্ষতিকর দিক:
অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে ডায়রিয়া পেট ব্যথা বা কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে।
বেথো শাক থেকে দূরে থাকবেন যারা :
বথুয়া উদ্ভিদে প্রচুর পরিমাণে অক্সালিক অ্যাসিড থাকে। যদি কারোর ইতিমধ্যেই ক্যালসিয়ামের ঘাটতি থাকে তাহলে এই শাক থেকে দূরে থাকবেন। বেথো শাকের স্বভাব গরম, তাই গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত পরিমাণে গ্রহণ করলে গর্ভপাত ও হতে পারে। এছাড়া অন্যান্য যেকোনো অসুস্থতা থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া বেথো শাক খাবেন না।
উপসংহার: বেথো শাক একটি পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যকর শাক। এটি বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। পরিমাণ মতো খাওয়া উচিত। অত্যধিক পরিমাণে খেলে কিছু সমস্যা হতে পারে।