শিমের চমৎকার স্বাস্থ্যগত গুণাবলী
উপকারিতা
শিম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক: এতে প্রচুর প্রোটিন, ভিটামিন, খনিজ ও ফাইবার রয়েছে, যা শরীরের ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করে।
হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়: নিয়মিত শিম খেলে হৃদরোগ এবং ডায়াবেটিসের সম্ভাবনা হ্রাস পায়।
কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে সহায়তা করে: শিমের আঁশ স্বাস্থ্যকর পরিপাকতন্ত্র বজায় রাখে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য কমিয়ে দেয়।
চুল ও ত্বক ভালো রাখতে সাহায্য করে: শিমের খনিজ ও ভিটামিন চুল পড়া কমায় এবং চুল ও ত্বকের রক্ষা করে।
হাড় ও দাঁত শক্তিশালী করে: শিমে ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাস রয়েছে যা হাড় ও দাঁত গঠনে সহায়তা করে।
শিম শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে: এতে প্রায় প্রচুর পরিমাণে জল রয়েছে, যা শরীরের জলের ঘাটতি পূরণ করতে সাহায্য করে।
গর্ভবতী মা ও শিশুর জন্য উপকারী: শিম গর্ভবতী মহিলার ও শিশুর পুষ্টিহীনতা কাটিয়ে ওঠার জন্য সাহায্য করে এবং স্নায়ুতন্ত্রের বিকাশে সহায়তা করে।
স্মৃতিশক্তি উন্নত করে: শিমের দানায় ভিটামিন বি৬ রয়েছে, যা স্নায়ুতন্ত্রকে সুস্থ রাখে এবং স্মৃতিশক্তিকে বাড়িয়ে তোলে।
কোলেস্টেরল ও শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে: শিম কোলেস্টেরল এবং শর্করার স্তর নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
রান্না ও ব্যবহারের পদ্ধতি
শিম চচ্চড়ি: শিম, আলু, বেগুন, টমেটো বা অন্যান্য সবজি মিলিয়ে মিশ্র সবজির তরকারি তৈরি হয়। এতে সাধারনত সর্ষের তেল, সর্ষের বাটা, হলুদ, মরিচ, আদা ইত্যাদি ব্যবহার হয়।
শিম শর্ষে: শিম শর্ষের বাটা দিয়ে প্রস্তুত করা হয়। এটি একটি বিশেষ টক-ঝাল স্বাদের খাবার এবং বাঙালিদের কাছে বেশ জনপ্রিয়।
শিম পোস্ত: শিম এবং আলু পোস্ত বাটা দিয়ে তৈরি করা হয়,এটি একটু মিষ্টি এবং মসলাদার স্বাদের হয়ে থাকে।
বিশেষ পরামর্শ
এলার্জি: যাঁদের শিমে এলার্জি রয়েছে, তাঁদের এটি এড়ানো উচিত।
কিডনি রোগ বা ইউরিক অ্যাসিড বৃদ্ধি পেলে: কিডনি রোগ বা ইউরিক অ্যাসিড বৃদ্ধি পেলে শিমের পরিমাণ কমিয়ে দিতে হবে।
বিশেষ তথ্য
শিম হলো একটি পুষ্টিকর সবজি, কিন্তু সঠিকভাবে রান্না করে, যথাযথ পরিমাণে এবং স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে খাওয়া উচিত। বিশেষ শারীরিক সমস্যা থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।