
শরীরে সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের মাত্রা কমে গেলে কি করা উচিত
চিকিৎসকরা সতর্ক করছেন, শরীরে সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের মাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় কমে গেলে তা মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করতে পারে। সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, দীর্ঘ সময় ধরে অতিরিক্ত ঘাম, ডায়রিয়া, বমি কিংবা কিছু বিশেষ ওষুধের প্রভাবে অনেকের শরীরে এই দুই অপরিহার্য ইলেকট্রোলাইটের ঘাটতি দেখা দিচ্ছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সোডিয়াম শরীরের জলীয় ভারসাম্য বজায় রাখে এবং স্নায়ুর সঠিক কার্যক্রম নিশ্চিত করে। অপরদিকে, পটাশিয়াম হৃদপিণ্ডের ছন্দ নিয়ন্ত্রণ ও পেশীর কার্যক্ষমতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই দুইয়ের মাত্রা অতিরিক্ত হ্রাস পেলে দেখা দিতে পারে দুর্বলতা, মাথা ঘোরা, পেশীতে খিঁচুনি, অস্বাভাবিক হৃদস্পন্দন এবং চরম ক্ষেত্রে অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার মতো জটিলতা।
ডাঃ অনির্বাণ মুখার্জি, এক জন্য চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ, জানান — “হাইপোনাট্রেমিয়া
(সোডিয়ামের অভাব) বা হাইপোক্যালেমিয়া (পটাশিয়ামের অভাব) দুই-ই প্রাণঘাতী হতে পারে। রোগীকে দ্রুত স্যালাইন বা প্রয়োজনীয় ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা শুরু করা জরুরি।”
চিকিৎসকদের পরামর্শ, পর্যাপ্ত পরিমাণে তরল, লবণযুক্ত খাবার এবং কলা, ডাবের পানি, ডালিমের রসের মতো পটাশিয়ামসমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণ করা উচিত। তবে মাত্রা অনুযায়ী খাদ্য পরিকল্পনা করা এবং হঠাৎ ঘাটতির ক্ষেত্রে অবিলম্বে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়াই সঠিক উপায়।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সমস্যা অবহেলা করলে তা হৃৎপিণ্ড ও স্নায়ুতন্ত্রের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে। তাই শরীরের ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য রক্ষা করা এখন সময়ের দাবী।

