
বেশি ওষুধ (Medicine) খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো না খারাপ?
আমরা যখন অসুস্থ হই, ডাক্তার আমাদের রোগ প্রতিরোধ করার জন্য কিছু নির্দিষ্ট ওষুধ (Medicine) দেন। এই ওষুধগুলো (Medicine) সাধারণত আমাদের রোগ সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে। অনেকেই ভাবে বেশি পরিমাণে ওষুধ (Medicine) খেলে শরীর তাড়াতাড়ি সুস্থ হবে। কিন্তু বেশি ওষুধ (Medicine) খাওয়া কি ভালো, নাকি খারাপ? চলুন জেনে নেওয়া যাক।
বেশি ওষুধ (Medicine) খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে মোটেই ভালো নয়, বরং খুব ক্ষতিকর হতে পারে। কিন্তু অনেকেই সামান্য অসুখ হলেও নিজেরাই ফার্মেসি থেকে ইচ্ছেমতো ওষুধ (Medicine) কিনে খান। যেমন – জ্বর হলে, সর্দি হলে বা গায়ে ব্যথা হলে কোনো চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই অনেকে অ্যান্টিবায়োটিক বা ব্যথা কমানোর ওষুধ খেয়ে থাকেন। এই অভ্যাসটা খুবই ক্ষতিকারক।
প্রত্যেক ওষুধেরই (Medicine) রোগ প্রতিরোধ করা ছাড়াও কিছু না কিছু এমন প্রভাবও থাকে যা শরীরের পক্ষে মোটেই ভালো নয়। যেমন- মাথা ঘোরা, পেটে ব্যথা, ত্বকে র্যাশ ওঠা, বমি বমি ভাব। যখন আপনি অনেক ওষুধ (Medicine) একসাথে খান, তখন এই প্রভাব গুলি বেড়ে যেতে পারে বা নতুন কোনো সমস্যা তৈরি হতে পারে।
বেশি ওষুধ (Medicine) খেলে আমাদের শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলো যেমন- লিভার এবং কিডনি -এর ওপর মারাত্মক চাপ পরে। এই অঙ্গগুলো আমাদের শরীর থেকে ক্ষতিকারক পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে। কিন্তু অতিরিক্ত ওষুধের (Medicine) কারণে এরা অতিরিক্ত কাজ করতে বাধ্য হয় এবং ধীরে ধীরে এদের কার্যক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়।
কিছু ওষুধ (Medicine) আছে যেগুলো দীর্ঘদিন বা বেশি পরিমাণে খেলে শরীর সেগুলোর সঙ্গে মানিয়ে নেয়। এর ফলে ওষুধের (Medicine) কার্যকারিতা কমে যায়। যেমন- যদি আপনি বারবার অ্যান্টিবায়োটিক খান, তাহলে ভবিষ্যতে কোনো গুরুতর সংক্রমণের চিকিৎসায় সেই অ্যান্টিবায়োটিক আর কাজ নাও করতে পারে।
কিছু মানুষ ব্যথার ওষুধ (Medicine) বা ঘুমের ওষুধের (Medicine) ওপর নির্ভরশীল হয়ে পরে। তখন এই ওষুধগুলো ছাড়া তাদের দিন চলে না, যা এক ধরনের নেশার মতো।
ঘুমের ওষুধগুলো (Medicine) চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া খেলে মানসিক নির্ভরশীলতা তৈরি হয় এবং মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমে যেতে পারে। এছাড়াও বেশি ব্যথার ওষুধ (Medicine) খেলে কিডনির মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।
চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ঘন ঘন অ্যান্টিবায়োটিক খেলে শরীরের স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় এবং অ্যান্টিবায়োটিক রেসিস্ট্যান্স (antibiotic resistance) তৈরি হয়, যা ভবিষ্যতের জন্য খুব বিপজ্জনক।
সর্দি বা কাশি হলে গরম জলের ভাপ নিতে পারেন বা মধু-তুলসী পাতার রস খেতে পারেন। জ্বর হলে জলপট্টি এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন।
শুধুমাত্র ওষুধ (Medicine) খেলেই শরীর সুস্থ হয়ে উঠবে না। স্বাস্থ্যকর খাবার, নিয়মিত শরীরচর্চা, পর্যাপ্ত ঘুম এবং মানসিক চাপ কমানোর চেষ্টা করুন। এই বিষয়গুলো আপনার শরীরকে ভিতর থেকে শক্তিশালী করে তুলবে।
সামান্য অসুস্থতা হলেও নিজে নিজে ওষুধ (Medicine) না কিনে একজন ভালো ডাক্তারের পরামর্শ নিন। তিনি আপনার রোগ নির্ণয় করে সঠিক ওষুধ (Medicine) এবং তার সঠিক মাত্রা বলে দেবেন।
অযথা ওষুধ (Medicine) খাওয়া থেকে বিরত থাকুন এবং সুস্থ থাকতে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী জীবনযাপন করুন। আপনার শরীর আপনার সবচেয়ে বড় সম্পদ। একে সুস্থ রাখা আপনার দায়িত্ব।

