![]()
ডিমের সাদা অংশের গুণাগুণ: প্রতিদিনের খাবারে ‘এগ হোয়াইট’ রাখার গুরুত্বপূর্ণ কারণগুলি
ডিম ছোট দেখতে হলেও এর পুষ্টিগুণ অপরিসীম। বহু বছর ধরেই ডিমকে ‘সুপারফুড’ বলা হয়, কারণ এতে শরীরের প্রয়োজনীয় প্রায় সবরকম পুষ্টি উপাদান থাকে। যদিও অনেকেই ডিমের কুসুমকেই বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকেন, কিন্তু আধুনিক পুষ্টিবিদরা বলছেন—ডিমের সাদা অংশ, অর্থাৎ ‘এগ হোয়াইট’, হলো সেই অংশটি যা কম ক্যালোরিতে, কম চর্বিতে এবং উচ্চ প্রোটিনে ভরপুর।
ডিমের সাদা অংশে কোনও কোলেস্টেরল নেই, চর্বি নেই এবং কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণও নগণ্য। তাই যারা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান, বা যাদের কোলেস্টেরল সমস্যার কারণে কুসুম এড়াতে হয়, তাঁদের জন্য ডিমের সাদা অংশ একটি নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যকর বিকল্প।
ডিমের সাদা অংশের উপকারিতা বিস্তারিতভাবে:
উচ্চ প্রোটিন:
ডিমের সাদা অংশে রয়েছে উচ্চমাত্রার সম্পূর্ণ প্রোটিন, যা শরীরের কোষ গঠনে, পেশি তৈরিতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
কম ক্যালোরি, কম ফ্যাট:
১টি মাঝারি আকারের ডিমের সাদা অংশে মাত্র ১৭ ক্যালোরি এবং ৩.৬ গ্রাম প্রোটিন থাকে, কিন্তু কোনো চর্বি বা কোলেস্টেরল থাকে না। ফলে এটি ডায়েটিং ও হার্ট হেলথের জন্য আদর্শ।
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য নিরাপদ:
কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ প্রায় শূন্য হওয়ায় এটি রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ায় না।
শরীরচর্চার পর সেরা স্ন্যাকস:
ওয়ার্কআউটের পরে পেশি পুনর্গঠনের জন্য ডিমের সাদা অংশ দ্রুত অ্যাবজর্ভ হয়, ফলে এটিকে “post-workout fuel” বলা হয়।
ত্বক ও চুলের জন্য উপকারি:
এর মধ্যে থাকা অ্যামিনো অ্যাসিড এবং ভিটামিন B2 ত্বক মসৃণ রাখতে সাহায্য করে এবং চুল পড়া কমাতে ভূমিকা রাখে।
বাচ্চা থেকে বয়স্ক—সবার জন্য উপযুক্ত:
ডিমের সাদা অংশ সহজে হজম হয়, তাই এটি ছোট শিশু থেকে শুরু করে বয়স্ক ব্যক্তিদের জন্যও দারুণ পুষ্টিকর। বিশেষ করে যাঁদের কোষ্ঠকাঠিন্য, কোলেস্টেরল বা হজমের সমস্যা আছে, তাঁদের জন্য এটি খুবই উপযোগী।
বিশেষজ্ঞদের মতে
নিউট্রিশনিস্ট ডঃ সুমনা বসু বলেন, “ডিমের সাদা অংশে উচ্চ মানের প্রোটিন আছে, যা শরীর নিজে থেকে উৎপাদন করতে পারে না এমন সমস্ত অ্যামিনো অ্যাসিড দেয়। তাই প্রতিদিন যদি অন্তত ২টি সাদা অংশ খাওয়া যায়, তবে তা শরীরের প্রোটিনের ঘাটতি মেটাতে অনেকটাই সহায়ক হয়।”

