
ডাস্ট এলার্জি বর্তমান শহর জীবনকে পঙ্গু করে দিয়েছে
মানবদেহের থাইমাস নামে একটি গ্রন্থি থাকে, যেটি আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। এই গ্রন্থির কার্যকরিতা সঠিক ভাবে না হলে এলার্জি দেখা দেয়। কিছু জেনেটিক ত্রুটির কারণে আমাদের ইমিউন সিস্টেম ঠিক মতো কাজ না করার কারণে এলার্জি হতে পারে।
ডাস্ট এলার্জির প্রধান কারণ গুলো কি কি?
১. ঘরের ধুলোবালি-
সাধারণ ঘরের ধুলোর মধ্যে একাধিক উপাদান থাকে যেমন মৃত চামড়া, খাবারের কণা, কাপড়ের তন্তু, ইনসেক্ট পার্টস ইত্যাদি।এই মিশ্র ধূলিকণা অনেক সময় তীব্র এলার্জির কারণ হতে পারে।
২. ধূমপান ও দূষিত বাতাস-
ধূমপানের ধোয়া, গাড়ির ধোয়া বা যেকোনো রাসায়নিক ধোয়া বাতাসে মিশে এলার্জি বাড়িয়ে দিতে পারে।
ডাস্ট এলার্জির প্রধান লক্ষণ গুলো কি কি?
১. হাঁচি দেওয়া।
২. নাক দিয়ে জল পড়া।
৩. চোখ থেকে জল পড়া।
৪. শ্বাসকষ্ট।
৫. ত্বকে চুলকানি।
৬. ধুলোর কাছাকাছি এলো হাঁচি বা কাশি হওয়া।
শিশুদের ডাস্ট এলার্জির প্রধান লক্ষণ-
১. ঘুমানোর সময়ে নিশ্বাস নিতে অসুবিধা হওয়া।
২. ঘন ঘন নাক ঘষা বা চুলকানি।
ডাস্ট এলার্জির নিরাময় পদ্ধতি কি?
• পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা
১.প্রতি দিন ঘর ও বিছানা পরিষ্কার করা।
২. কার্পেট ও ভারী পর্দা এড়িয়ে চলা কারণ ঘরে ধুলো জমার ওগুলো আদর্শ জায়গা।
• বাতাস বিশুদ্ধ রাখা
ঘরে জানলা খোলা রাখুন তবে বেশি ধুলো ঢুকলে বন্ধ রাখুন।
• সতর্কতা বা প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা
১. সবসময় মাস্ক পড়া দরকার।
২. পোষা প্রাণীর লোম থেকে সাবধান।
৩. ধূমপান এড়িয়ে চলা প্রয়োজনীয়।
• ঘরোয়া পদ্ধতি
১. ধুলোর মধ্যে না বসা বা শোয়া।
২. সামান্য গরম জলের ভাপ নেওয়া।
৩. তুলসী, আদা ও মধু দিয়ে চা, যা শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
বর্তমান যুগেও এলার্জি থেকে পুরোপুরি নিষ্কৃতি পাওয়া সম্ভব নয় তবে ডাক্তারের পরামর্শ মেনে ওষুধ খেলে এলার্জি থেকে উপশম পাওয়া সম্ভব।

