
দিন রাত অ্যাংজাইটিতে ভুগছেন? সমাধান চোখের সামনে
অ্যাংজাইটি বা উৎকন্ঠা একটি মানসিক অবস্থা সাধারণত অত্যাধিক স্ট্রেস, দুশ্চিন্তা, অনিশ্চয়তা থেকে জন্ম নেয় এবং পরবর্তী কালে ডিপ্রেসন, প্যানিক অ্যাটাক এর মত সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন যা আমাদের সাধারণ ভাবে জীবন যাপনকে ব্যাহত করে।
অ্যাংজাইটির পেছনে অনেকগুলো মানসিক, সামাজিক এবং শারীরিক কারণ থাকতে পারে। সেই কারণগুলো হলো-
১. মানসিক ও ব্যাক্তিগত কারণ
• অতিরিক্ত স্ট্রেস
• পরীক্ষা, অর্থনৈতিক সমস্যা বা ব্যক্তিগত জীবনের জটিলতা।
• নিম্ন আত্মবিশ্বাস ও আত্মসম্মান
নিজের উপর ভরসা না রাখা ও নিজেকে সবসময় ছোট মনে করা।
২. জীবন ধারা ও অভ্যাসগত কারণ
• অপর্যাপ্ত ঘুম।
• অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস।
• মদ্যপান ধূমপান বা ড্রাগের কারণে।
অ্যাংজাইটির লক্ষণ গুলি হলো-
১. ছোটো ছোটো বিষয়েও বারবার চিন্তা করা।
২. অস্থিরতা বা একঘেয়েমি।
৩. মনঃসংযোগে অসুবিধা।
৪. চট করে রেগে যাওয়া বা আবেগপ্রবণ হয়ে পড়া।
৫. হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া – বুক ধড়ফড় করা বা হৃদয় কাঁপা।
৬. শ্বাসকষ্ট হওয়া।
৭. কিছু হলেই ঘামতে থাকা।
অ্যাংজাইটি কমানোর জন্য আমরা কি কি করতে পারি-
১. মেডিটেশন প্রতিদিন 10 থেকে 20 মিনিট করতে পারলে মন মেজাজ শান্ত থাকে ফলে অ্যাংজাইটি কম হয়।
২. যোগ ব্যায়াম শরীর ও মনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
৩. ৭–৮ ঘণ্টা ঘুম মানসিক সুস্থ্যতার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
৪. ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবা বন্ধ করা।
৫.ডায়েরি বা নোটে মনের কথা লিখে রাখলে মস্তিষ্ক হালকা হয়।
৬.বন্ধুবান্ধব বা পরিবারকে নিজের অনুভূতি জানান। যদি অ্যাংজাইটি নিয়মিত জীবনে বাঁধা সৃষ্টি করে, তাহলে একজন মনোবিদ (psychologist) এর সাথে যোগাযোগ করুন।
৭. নিয়মিত বই পড়ুন যা মন মেজাজ সতেজ রাখবে।
৮. স্ক্রিন টাইম নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করুন
৯.নিজের পছন্দের কাজ করুন—আঁকা, গান শোনা, রান্না, বা নতুন কিছু শেখা। যতটা সম্ভব নিজেকে সময় দেওয়ার চেষ্টা করুন।
১০. প্রয়োজনে ওষুধের সাহায্য নেওয়া যেতে পারে। অ্যাংজাইটি কমানো সম্ভব কিন্তু এটি একটি অত্যন্ত ধৈর্য ও সময় সাপেক্ষ্য ব্যাপার। নিজের বিষয়ে যত্নশীল হওয়া ও নিজেকে সময়ে দিলে এর নির্মূল করা সম্ভব।

