
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ময়দা খাওয়া কি ভালো না খারাপ
ডায়াবেটিস এখন এক সর্বজনীন স্বাস্থ্য সমস্যা। এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের খাদ্য নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একটু ভুল খাওয়া-দাওয়াতেই রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ বেড়ে যেতে পারে। এমন এক প্রশ্ন প্রায়ই উঠে আসে “সুগার রোগীরা কি ময়দা খেতে পারে?” এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হলে আমাদের আগে বুঝতে হবে ময়দার গঠন ও শরীরে তার প্রভাব।
১. ময়দা কীভাবে তৈরি হয়?
ময়দা আসলে গমের সবচেয়ে প্রক্রিয়াজাত অংশ, যা তৈরির সময় এর ফাইবার, ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ বাদ পড়ে যায়। ফলস্বরূপ, এটি রিফাইন্ড কার্বোহাইড্রেটে পরিণত হয়।
2. গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (GI) এর প্রভাব:
ময়দার GI অনেক বেশি, অর্থাৎ এটি খুব দ্রুত রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়িয়ে তোলে। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি অত্যন্ত বিপজ্জনক হতে পারে।
৩. ইনসুলিন প্রতিরোধের ঝুঁকি:
অতিরিক্ত ময়দা খেলে শরীরে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স (Insulin Resistance) বাড়তে পারে, যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে বড় বাধা।
৪. স্বাস্থ্যকর বিকল্প:
ময়দার বদলে ডায়াবেটিস রোগীরা চিড়া, লাল আটার রুটি, জোয়ার বা বাজরার রুটি বেছে নিতে পারেন। এসব খাবারে ফাইবার বেশি থাকে এবং তা রক্তে শর্করার মাত্রা ধীরে ধীরে বাড়ায়।
৫. মাঝেমধ্যে পরিমিতভাবে:
যদি খুব প্রয়োজন হয়, তবে মাঝে মাঝে অল্প পরিমাণে ময়দা খাওয়া যেতে পারে, তবে সেটা যেন অন্য পুষ্টিকর খাবারের সঙ্গে ভারসাম্য রেখে হয়।
ময়দা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এক বিপজ্জনক খাদ্য। যদিও একেবারে নিষিদ্ধ নয়, তবুও নিয়ন্ত্রণ এবং বিকল্পের কথা মাথায় রেখে চলা উচিত। স্বাস্থ্য সুরক্ষিত রাখতে খাদ্যতালিকায় প্রাকৃতিক, অপরিশোধিত শস্য রাখাই সর্বোত্তম।

