
মাসল পেন নিয়ন্ত্রণ করার কিছু উপায়
মাসল পেন বা পেশির ব্যথা অনেক কারণে হতে পারে—অতিরিক্ত পরিশ্রম, ভুল ভঙ্গিতে বসা/শোয়া, স্ট্রেন, অথবা চোট।
প্রাকৃতিক ও ঘরোয়া পদ্ধতি:
১. গরম বা ঠান্ডা সেঁক দিন: ব্যথার ধরনের ওপর নির্ভর করে গরম বা ঠান্ডা সেঁক দিন। নতুন ব্যথার ক্ষেত্রে বরফ ব্যবহার করুন, আর পুরনো ব্যথার ক্ষেত্রে গরম জলের ব্যাগ ব্যবহার করুন (১৫ মিনিট)।
২. বিশ্রাম নিন ও ম্যাসাজ করুন: আক্রান্ত পেশিকে বিশ্রাম দিন। কিন্তু সম্পূর্ণ নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়বেন না। হালকা হাতে ম্যাসাজ রক্ত চলাচল বাড়ায় ও ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
৩. হাইড্রেটেড থাকুন: পর্যাপ্ত জল পান করলে মাসল ক্র্যাম্প ও পেশির শক্ত হয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
৪. বিট, কলা ও মিষ্টিআলু খাওয়া: এগুলোতে ইলেকট্রোলাইট ও মিনারেল থাকে যা মাসল ক্র্যাম্প কমাতে সাহায্য করে।
মাসল পেন কমাতে সাহায্যকারী খাবার:
১. প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার –ডিম, মুরগির মাংস, মাছ, ডাল, ছোলা, দুধ, পনির
২. ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড– সামুদ্রিক মাছ (সালমন, ম্যাকেরেল), আখরোট, চিয়া সিডস, ফ্ল্যাক্স সিডস।
৩. অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ফল ও সবজি – বেরি (স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি), কমলা, পেয়ারা, ব্রকোলি, পালং শাক।
৪. হলুদ (টারমারিক) –দুধের সাথে হলুদ মিশিয়ে খেলে ভালো উপকার পাওয়া যায়।
৫. হাইড্রেটিং খাবার ও পানীয় – ডাবের জল, লেবু জল, তরমুজ, শসা।
৬. ম্যাগনেশিয়াম যুক্ত খাবার – কাজু, বাদাম, কুমড়োর বীজ, পালং শাক, ব্রাউন রাইস।
রোজকার অভ্যাস পরিবর্তন করা:
১. ওয়ার্ম আপ এক্সারসাইজ: হাঁটা বা দৌড়ানোর আগে হালকা স্ট্রেচিং করলে পেশি প্রস্তুত হয় এবং ব্যথার ঝুঁকি কমে।
২. ভালো জুতো ব্যবহার: পায়ের পেশিকে সাপোর্ট দেয় এমন জুতো ব্যবহার করলে কাফ মাসলে চাপ কমে।
৩. সঠিক ভঙ্গিমায় বসা ও কাজ করা শিখুন: দীর্ঘক্ষণ এক ভঙ্গিতে বসে থাকা বা ভুলভাবে কাজ করলে মাসল পেন হয় সঠিক ভঙ্গি মেনে চলুন।
উপসংহার
মাসল পেন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব যদি আপনি সঠিক উপায়ে বিশ্রাম, সেঁক, ব্যায়াম এবং খাদ্যাভ্যাস মেনে চলেন। যদি ব্যথা দীর্ঘস্থায়ী হয় বা অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পায়, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।

