
ওজন বাড়ানোর (Weight Gain) সহজ উপায়
অনেকেই ভাবেন শুধু ওজন কমানোই বড় সমস্যা, কিন্তু বাস্তবে অনেক মানুষের জন্য সঠিকভাবে ওজন বাড়ানোও (Weight Gain) সমান কঠিন একটি কাজ। এছাড়াও ওজন কম হলে শরীর দুর্বল লাগে, ফলে বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যাও দেখা দিতে পারে। তবে সঠিক খাদ্যাভ্যাস, নিয়মিত ব্যায়াম ও স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা মেনে চললে ধীরে ধীরে ওজন বাড়ানো (Weight Gain) সম্ভব। ওজন বাড়ানো (Weight Gain) মানেই অতিরিক্ত চর্বি জমিয়ে মোটা হওয়া নয় বরং সুস্থভাবে মাংসপেশী ও শক্তি বৃদ্ধি করাই আসল কারণ। তাই একটু ধৈর্য, একটু যত্ন আর সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে আপনি পেতে পারেন সুন্দর শারীরিক গঠন।
ওজন বাড়ানোর (Weight Gain) উপায়:
১. ক্যালরিযুক্ত খাবার গ্রহণ করা:
প্রতিদিনের কাজকর্মের ফলে আমাদের শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি কমতে থাকে। আর ঠিক সেই কারণে ক্যালরিযুক্ত খাবার খাওয়া খুব জরুরী যেমন ভাত, রুটি, আলু, ডাল, ডিম, দুধ, বাদাম, ফল ইত্যাদি।
২. প্রোটিন গ্রহণ করুন:
প্রোটিন হল আমাদের শরীরের ওজন বাড়ানোর (Weight Gain) মূল চাবিকাঠি। শরীরের ওজন বাড়াতে পেশী গঠন দরকার। প্রতিদিন ডিম, মাছ, মুরগি, দুধ, ছোলা, সয়াবিন, ডাল খেলে প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ হবে।
৩. প্রতিদিন বেশি পরিমাণে খাবার খান:
দিনে অন্তত ৫–৬ বার খাবার খান। এতে শরীরে মেটাবলিজম বজায় থাকে এবং শরীরে খাওয়ার গ্রহণ করার ক্ষমতা বেড়ে যায়।
৪. দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার:
দুধ, দই, পনির, চিজ শরীরের জন্য ভালো এবং ওজন বাড়াতে (Weight Gain) সাহায্য করে। এছাড়াও রাতে এক গ্লাস গরম দুধ খাওয়ার অভ্যাস করুন।
৫. ব্যায়াম:
হালকা ওজন তোলা (weight training) বা যোগব্যায়াম (Yoga) করলে ক্ষুধা বাড়ে এবং মাংসপেশীও গঠন হয়। শুধু খাওয়া নয়, ব্যায়ামের মাধ্যমেও সুস্থভাবে ওজন বাড়ে।
৬. পর্যাপ্ত ঘুম:
সারাদিনের খাটনির পরে প্রতিদিন অন্তত ৭–৮ ঘণ্টা ঘুমাতে হবে। পর্যাপ্ত বিশ্রাম না হলে শরীর ভেঙে পড়ে ও শরীরের কার্যক্ষমতা কমে যায় সেই কারণে পর্যাপ্ত বিশ্রাম শরীরকে বাড়তি পুষ্টি কাজে লাগাতে সাহায্য করে।
উপসংহার
সুস্থভাবে ওজন বাড়ানো (Weight Gain) সময়সাপেক্ষ হলেও একেবারেই অসম্ভব নয়। নিয়মিত সুষম খাদ্য গ্রহণ, পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও ব্যায়ামের মাধ্যমে ধীরে ধীরে শরীরের ওজন এবং শক্তি দুটোই বাড়ানো যায়। মনে রাখতে হবে, দ্রুত ফলাফলের জন্য অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া শরীরের ক্ষতি করে, তাই স্বাস্থ্যকর উপায়ই সর্বদা সেরা পথ।

