
মৃগী (Seizures Or Fits) হওয়ার লক্ষণ কী?
মৃগী হল মস্তিষ্ক জনিত একটি রোগ, যেখানে আক্রান্ত ব্যক্তি প্রায়ই খিঁচুনির (seizures or fits) সমস্যার সম্মুখীন হন। এই ধরনের খিঁচুনি প্রধানত মস্তিষ্কে কোনো অস্বাভাবিক বৈদ্যুতিক কার্যকলাপের ফলে ঘটে। তবে মৃগীর লক্ষণ সবার ক্ষেত্রে একরকম হয় না। অনেকের ক্ষেত্রেই এর লক্ষণ ভীষণ গুরুতর হয় কিন্তু অন্যদিকে আবার কিছু ক্ষেত্রে এর লক্ষণ তেমন গুরুতর হতে দেখা যায় না।
মৃগী হওয়ার প্রধান লক্ষণটি হল খিঁচুনি (seizures or fits)। খিঁচুনি (seizures or fits) হলে আক্রান্ত ব্যক্তি হঠাৎ তার দেহের উপর থেকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। তার হাত ও পা অস্বাভাবিক পরিমাণে কাঁপতে শুরু করে। এমনকি কিছু ক্ষেত্রে সেই ব্যক্তি সাময়িক সময়ের জন্য তার জ্ঞান হারিয়ে ফেলে, সাড়া দেওয়া বন্ধ করে দেয়।
কিছু মৃগী রোগীর ক্ষেত্রে এক ধরনের অবস্থা দেখা যায় যা হল “স্টেয়ারিং স্পেল”(staring spell)। এই অবস্থায় আক্রান্ত ব্যক্তি কয়েক সেকেন্ডের জন্য কোন সাড়া শব্দ না দিয়ে নিস্পলক ভাবে তাকিয়ে থাকে। এটিও এক ধরনের খিঁচুনির লক্ষণ।
খিঁচুনির ঠিক পরের মুহূর্তেই মৃগী রোগের অত্যন্ত বিভ্রান্ত, হতাশ এবং দুর্বল লাগে। এমনকি তাদেরও মনে থাকে না যে কি হয়েছিল। বেশ খানিকক্ষণ সময় লাগে তাদের আবার আগের মতন সুস্থ হয়ে উঠতে।
খিঁচুনি শুরু হওয়ার ঠিক আগে মৃগী রোগীরা অদ্ভুত অনুভূতির শিকার হয়। এই ধরনের অনুভূতিকে বলা হয় “অরা”(Aura)। এই সময়ের আক্রান্ত ব্যক্তি কোন অদ্ভুত গন্ধ পেতে পারে বা কোন অস্বাভাবিক স্বাদ পায়, অথবা তাদেরও মনে হয় যে কিছু অস্বাভাবিক ঘটতে চলেছে।
তবে কোন ব্যক্তির যদি খিঁচুনি বারবার হতেই থাকে তাহলে তৎক্ষণাৎ চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করা প্রয়োজন। একজন নিউরোলজিস্ট আক্রান্ত ব্যক্তিকে কিছু সামান্য টেস্ট এর সাহায্যে তার চিকিৎসা করে দিতে পারে। সঠিক ওষুধ, যত্ন এবং চিকিৎসকের সাহায্যেই একজন মৃগী রোগী আবার স্বাভাবিক ভাবে তার জীবন যাপন করতে পারে।

