
বর্তমান সমাজে শ্বাসকষ্টের সমস্যা
প্রতিটি মানুষের ঘরে ঘরেই ভয়ানক ভীতির সৃষ্টি করেছে। এই রোগটির ভয়াবহতা দেখে মানুষ আগের থেকে অনেক বেশি সচেতন হচ্ছেন। সমস্যাটি মানুষের জীবনের মান কে ব্যাহত করে বলেই মানুষ শুধু নিজে সচেতন হয় নি আশেপাশের মানুষ কে সচেতন করা শুরু করেছে।
শ্বাসকষ্ট বা Dyspnea কি?
Dyspnea, যা লোকমুখে শ্বাসকষ্ট নামে পরিচিত, এটি হচ্ছে এমন একটি শারীরিক অবস্থা যেখানে একজন মানুষ স্বাভাবিক উপায় নিশ্বাস নেওয়ার জন্য প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হয়, বা নিশ্বাস নেওয়ার সময়ে বুকে যন্ত্রণা অনুভব করে। অক্সিজেনের ভারসাম্য সঠিক না হলে শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দেয়।
শ্বাসকষ্টের লক্ষণ সমূহ গুলি কি কি?
শ্বাসকষ্টের প্রাথমিক লক্ষণ হল নিশ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া। বুকে চাপ লাগা, ঘুমানোর সময়ে শ্বাস নিতে
কষ্ট হওয়া, হাঁটার সময়ে বা অল্প পরিশ্রমে হাঁপিয়ে যাওয়া বা কথা বলার সময়ে শ্বাস আটকে আসাকে শ্বাসকষ্টের অন্যতম প্রধান লক্ষণ হিসেবে আমরা মানতে পারি।
শ্বাসকষ্টের প্রধান কারণ গুলো কি কি?
শ্বাসকষ্টের প্রধান কারণ গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ধূমপান যা স্বাস্থ্য এবং ফুসফুস এর জন্য ভীষণ ক্ষতিকর। সবচেয়ে প্রচলিত শ্বাসকষ্টের কারণ হল ঠান্ডা লাগা বা বুকে কফ জমে যাওয়া।কখনো কখনো অত্যাধিক উচ্চতার কারণে নিশ্বাস নিতে অসুবিধা হয়। স্ট্রেস, প্যানিক অ্যাটাক এর জন্যও অনেক সময়ে শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দেয়।
ঘরোয়া পদ্ধতিতে শ্বাসকষ্ট নিরাময়ের উপায় কি কি?
১.গরম জলে ভাপ নিলে শ্বাসকষ্ট অনেক সময় কম হয়। নাক বন্ধ কিংবা কফ জমে থাকার চেয়ে মুক্তি দেয়।
২.কালো জিরে ও মধু শ্বাসনালী পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। ফলে শ্বাসকষ্টের রোগীরা আরাম পায়।
৩.তুলসী ও আদার চা কফ পরিষ্কার করে শ্বাস প্রশ্বাস এর সাহায্য করে।
ব্যায়াম ও জীবন ধারার মাধ্যমে আমরা কিভাবে শ্বাসকষ্ট কমাতে পারি?
১.ওয়াক বা স্ট্রেচিং এর মাধ্যমে শরীর কে সচল রাখলে ফুসফুস ভালো থাকে।
২. সঠিক ভাবে ঘুমালে উচু বালিশে নিশ্বাস নিতে সুবিধে হয় ফলে শ্বাসের চাপ কমাতে সাহায্য করে।
৩. সকালে উঠে প্রাণায়াম করলে ফুসফুস এর কার্য ক্ষমতা বারে এবং মন কে শান্ত রাখে।
খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন
১.এলার্জি সৃষ্টি করা খাবার যেমন ঠান্ডা জল, দুগ্ধজাত খাবার এড়িয়ে চললে আমরা কিছুটা সুস্থ থাকতে পারি।
২. অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যুক্ত খাবার যেমন মিষ্টি আলু, হলুদ, বাদাম এড়িয়ে চললেও আমরা উপকার পেতে পারি।
সচেতনতা যেকোনো রোগের সমাধানের একমাত্র পথ। আগের থেকে মানুষ এখন অনেক বেশি প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে উঠতে পেরেছে। আমরা যদি শ্বাসকষ্ট নিরাময়ের উপায় গুলো সাধারণ মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে পারি, তবে সহজেই তারা এ অসুখের হাত থেকে পরিত্রাণ পাবে ।

