
ভাইরাল ফিভার থেকে মুক্তির উপায়
ভাইরাল ফিভার মূলত ভাইরাস সংক্রমণের কারণে হয়, যা হঠাৎ জ্বর, মাথাব্যথা, শরীর ব্যথা, দুর্বলতা, কাশি, গলা ব্যথা, নাক দিয়ে জল পড়া ইত্যাদি উপসর্গ তৈরি করে। সাধারণত বর্ষাকাল বা মৌসুমি পরিবর্তনের সময় এটি বেশি হয়, কারণ এ সময়ে ভাইরাস দ্রুত ছড়ায়। ভাইরাল ফিভার থেকে বাঁচতে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া খুবই জরুরি,কারণ এটি সহজেই এক ব্যক্তি থেকে আরেক জনে ছড়িয়ে পড়ে।
ভাইরাল ফিভার থেকে আমরা কিভাবে বাঁচতে পারি
১. ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা
• বাইরে থেকে বাড়ি ফেরার পর ভালো করে সাবান ও পানি দিয়ে অন্তত ২০ সেকেন্ড হাত ধোয়া।
• চোখ, নাক ও মুখে হাত না দেওয়া, বিশেষ করে বাইরে থাকাকালীন।
• ব্যক্তিগত তোয়ালে, রুমাল, পানির বোতল, কাঁটাচামচ, চামচ ইত্যাদি শেয়ার না করা।
২. জল ও খাবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা
• বিশুদ্ধ জল পান করা।
• রাস্তার ধুলোমাখা, খোলা খাবার এড়িয়ে চলা।
• ফলমূল ভালো করে ধুয়ে খাওয়া।
৩. শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো
• পর্যাপ্ত পরিমানে ঘুমানো (৬–৮ ঘণ্টা)।
• ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার যেমন লেবু, কমলা, পেয়ারা, আমলকি বেশি খাওয়া।
• প্রতিদিন হালকা ব্যায়াম বা যোগব্যায়াম করা।
• স্ট্রেস কমানো এবং পর্যাপ্ত জল খাওয়া।
৪. ভিড় ও সংক্রমণপ্রবণ জায়গা এড়িয়ে চলা
• ফ্লু বা ভাইরাল জ্বরে আক্রান্ত ব্যক্তির কাছ থেকে দূরত্ব বজায় রাখা।
• জনসমাগমস্থলে গেলে মাস্ক ব্যবহার করা।
৫. পরিবেশ পরিষ্কার রাখা
• ঘর ও আশপাশ পরিচ্ছন্ন রাখা।
• ময়লা-আবর্জনা জমতে না দেওয়া, যাতে মশা বা অন্যান্য জীবাণুর বাড়তে না পারে।
৬. আবহাওয়ার পরিবর্তনে সতর্কতা
• ঠান্ডা বা বৃষ্টিতে ভিজলে সঙ্গে সঙ্গে শুকনো জামা কাপড় পরা।
• অতিরিক্ত ঠান্ডা জল বা বরফজাত খাবার এড়িয়ে চলা।
৭. প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া
• যদি দীর্ঘসময় জ্বর থাকে বা শ্বাসকষ্ট, প্রচণ্ড দুর্বলতা দেখা দেয়, তবে দেরি না করে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ
ভাইরাল ফিভার প্রতিরোধে সচেতনতা জরুরি। নিয়মিত হাত ধোয়া, বিশুদ্ধ পানি ও স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো সহায়ক। ভিড় এড়িয়ে চলা, মাস্ক ব্যবহার ও পরিবেশ পরিষ্কার রাখা উচিত। উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

