
মাম্পস (Mumps) থেকে বাঁচতে কি করা উচিৎ?
মাম্পস (Mumps) একটি ভাইরাসজনিত (Virus) সংক্রামক রোগ, যা মূলত কানের নিচের প্যারোটিড (Parotid) গ্রন্থির ফুলে যাওয়া এবং ব্যথার মাধ্যমে দেখা দেয়। এটি লালা, কাশি বা হাঁচির মাধ্যমে সহজে ছড়ায়।
মাম্পস (Mumps) থেকে মুক্তি পেতে কি সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে:
১. ভ্যাকসিন (Vaccine) নেওয়া – এমএমআর টিকা (MMR Vaccine) প্রধানত ১২–১৫ মাস ও ৪–৬ বছর বয়সের শিশুদের নেওয়া জরুরী। এতে হাম (Measles), মাম্পস (Mumps) ও রুবেলা (Rubella)—তিনটির সুরক্ষা মেলে।
২. সংক্রমিত ব্যক্তির থেকে দূরে থাকা – আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে ঘনিষ্ঠতা এড়ানো উচিৎ এবং একই বাসন বা বোতল ব্যবহার করা বন্ধ করা উচিৎ।
৩. ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা– হাঁচি অথবা কাশির সময় মুখ ঢেকে রাখা, টিস্যু (Tissue) সঠিকভাবে ফেলা এবং ব্যক্তিগত জিনিস ভাগ করা উচিৎ নয়।
৪. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা –নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খাওয়া, পর্যাপ্ত ঘুম, নিয়মিত শরীরচর্চা, মানসিক চাপ কমানোর ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা সম্ভব।
৫. আক্রান্ত হলে আলাদা থাকা – অন্তত ৫ দিন আইসোলেশনে (Isolation) থাকা এবং অন্যদের সাথে যোগাযোগ সীমিত রাখা উচিৎ।
৬. সচেতনতা – জ্বর, মাথাব্যথা, ক্ষুধামন্দা বা কানের নিচে ফোলা দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিৎ।
৭. জনসমাগম এড়ানো – এই সমস্ত রোগ জীবাণু থেকে দূরে থাকতে সব সময় ভিড় এড়ানো উচিৎ, কারণ সেখানে সংক্রমণের সম্ভবনা বেশি থাকে।
৮. বাতাস চলাচল নিশ্চিত করা – ঘরের জানালা খোলা রাখলে ও বিশুদ্ধ বাতাস ঢুকতে দিলে সংক্রমণের সম্ভবনা অনেক কমে যায়।
৯. জল ও খাবার ঢেকে রাখা – খোলা খাবার বা জল থেকে ভাইরাস ছড়াতে পারে। তাই ঢেকে রাখা দরকার।
১০. শিশুদের আলাদা যত্ন নেওয়া– যেহেতু শিশুদের মাঝে এই রোগ বেশি ছড়ায়, তাই স্কুলে বা খেলার সময় অসুস্থ বাচ্চাদের অন্যদের সাথে মিশতে না দেওয়া উচিৎ।
১১. গার্গল (Gurgle)ও হাইজিন (Hygiene) মেনে চলা – প্রতিদিন হালকা নুন জল দিয়ে গার্গল করা বা মুখ পরিষ্কার রাখা উচিৎ।
উপসংহার:
যদি আমরা সময়মতো টিকা (Vaccine) নিতে পারি তাহলে মাম্পস (Mumps) প্রতিরোধ করা কঠিন কোন ব্যাপার নয়। এছাড়াও ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা, আক্রান্ত ব্যক্তির থেকে দূরে থাকা, এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করা উচিৎ। এক কথায় ভালো অভ্যাস, সচেতনতা ও টিকা এই বিষয় গুলো মনে রাখলেই আমরা এই রোগ থেকে রক্ষা পাবো।

