
চোখের প্রেসার (Eye Pressure) বাড়লে কি করা উচিৎ?
চোখ আমাদের জীবনের আলো। এই চোখই আমাদের চারপাশের রঙ, সৌন্দর্য ও প্রিয়জনকে দেখতে সাহায্য করে। কিন্তু অনেক সময় চোখের ভেতরে চাপ বা ইন্ট্রাওকুলার প্রেসার (IOP) অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেলে তা গুরুতর সমস্যা তৈরি করতে পারে। চোখের প্রেসার বেড়ে গেলে সবচেয়ে বড় ঝুঁকি হল গ্লুকোমা, যা দৃষ্টি হারানোর অন্যতম প্রধান কারণ। তাই সচেতনতা এবং সময়মতো চিকিৎসা নেওয়া খুবই জরুরী।
চোখের প্রেসার (Eye Pressure) বাড়ার লক্ষণ:
– মাথাব্যথা বা চোখে ব্যথা অনুভূত হওয়া।
– চোখ লাল হওয়া বা অস্বস্তি হওয়া।
– দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা হওয়া বা হঠাৎ কমে যাওয়া।
– অনেক ক্ষেত্রে আবার কোনো লক্ষণই বোঝা যায় না।
নিরাময়ের উপায়:
১. চক্ষু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন:
চোখে প্রেসার (Eye Pressuse) বাড়লে প্রথম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হল ডাক্তার দেখানো। নিয়মিত চোখের প্রেসার (Eye Pressuse) পরীক্ষা করলে সমস্যা আগেই ধরা পড়ে।
২. ওষুধ গ্রহণ করুন:
ডাক্তার যে ড্রপ দেবেন তা চোখের ভেতরের তরল কমিয়ে প্রেসার নিয়ন্ত্রণে আনে। নিয়মিত এবং সঠিকভাবে ড্রপ ব্যবহার করা অত্যন্ত জরুরী।
৩. সার্জারি বা লেজার চিকিৎসা গ্রহণ করুন:
যদি ওষুধে কাজ না হয়, তবে লেজার বা অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে চোখের ভেতরের চাপ নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
৪. জীবনধারার পরিবর্তন:
অতিরিক্ত মানসিক চাপ এড়িয়ে চলুন। পর্যাপ্ত ঘুম ও বিশ্রাম নিন। ব্যায়াম (Exercise) করুন, তবে মাথা নিচু করে যোগাসন এড়িয়ে চলুন। ধূমপান থেকে বিরত থাকুন। এছাড়াও নিয়মিত চক্ষু পরীক্ষা করান, বিশেষ করে যদি পরিবারের কারও গ্লুকোমার সমস্যা থাকে, ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপের রোগীরা চোখের প্রতি বাড়তি যত্ন নিন, চোখে কোনো অস্বাভাবিক পরিবর্তন হলে অবহেলা করবেন না।
উপসংহার
চোখের প্রেসার (Eye Pressuse) বাড়া মানেই অবিলম্বে আতঙ্কিত হওয়ার বিষয় নয়, তবে অবহেলা করাও বিপজ্জনক। সময়মতো পরীক্ষা, চিকিৎসা ও জীবনধারায় পরিবর্তন আনলে দৃষ্টি সুরক্ষিত রাখা সম্ভব। মনে রাখবেন, চোখের যত্নই জীবনের সৌন্দর্য রক্ষার সবচেয়ে বড় উপায়।

