
হার্পিস (Herpes) হওয়ার লক্ষণ কি?
হার্পিস (Herpes) হল একটি ভাইরাসজনিত রোগ , যা হার্পিস সিমপ্লেক্স ভাইরাস (HSV) দ্বারা হয়ে থাকে। এই রোগের লক্ষণগুলো সাধারণত খুব সহজেই বোঝা যায়। এবং আমাদের দেহের কোথায় সংক্রমণ হয়েছে তার ওপর ভিত্তি করে লক্ষণগুলো বোঝা যায়।
হার্পিস (Herpes) এর প্রধান লক্ষণ গুলি হল :-
১. যখন আমাদের দেহে সংক্রমণ বেশি হয় তখন সাধারণ ফ্লু এর মতন কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন : জ্বর, মাথাব্যথা , লিম্ফ নোড ফুলে যাওয়া, লসিকা গ্রন্থি ফুলে যাওয়া ও ব্যথা করা। শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায় ,আক্রান্ত স্থানের কাছাকাছি ফুলে যায় ও ব্যথা করে।
২. হার্পিস (Herpes) -এর প্রধান লক্ষণ হল ফোসকা পরা বা ঘা হওয়া। আক্রান্ত স্থানে ছোট ছোট ফোসকা দেখা যায়। সাধারণত এই ফোসকা গুলো একই সাথে একগুচ্ছে বের হয়। পরবর্তীকালে ফোসকা গুলো ফেটে গিয়ে ঘা-এর সৃষ্টি করে যা প্রচন্ড ব্যথা করে। এবং ধীরে ধীরে এই ঘা শুকিয়ে গিয়ে একটি খসখসে স্তর তৈরি করে যা পরবর্তীকালে সেরে যায়।
৩. আগেই বলা হয়েছে, হার্পিস (Herpes) -এর স্থান অনুযায়ী তার লক্ষণ গুলি বোঝা সম্ভব হয়। যেমন ওরাল হার্পিস (Herpes), এটি ঠোঁট, মুখ বা মাড়ির চারপাশে, অথবা মুখের ভেতরেও হয়। একে অনেকে কোল্ড শোর বা ফিভার ব্লিস্টার বলে। এতে খুব ব্যথা হয়। আরেকটি হল জেনিটাল হার্পিস (Herpes) এতে যৌনাঙ্গের আশেপাশে ঘা অথবা ফোসকা হয়। এবং প্রস্রাবের সময় ভীষণ অস্বস্তি হয়।
৪. যে কোন স্থানেই হার্পিস (Herpes) হওয়ার আগে এক ধরনের অস্বস্তি অনুভূতি হয়। আক্রান্ত স্থানে ঝিনঝিন করে বা সুচ ফোটানোর অনুভূতি হয়। অস্বাভাবিক চুলকানি হয়। জ্বালা করে এবং ব্যথা করে।
কিন্তু অনেক সময় হার্পিস (Herpes) হওয়ার লক্ষণ দেখা যায় না। অনেকেই বুঝতে পারেন না এর লক্ষণগুলো। কিন্তু তার মানে এই নয় যে হার্পিস (Herpes) হয়নি। হার্পিস (Herpes) হওয়া সম্ভবনা বারবার থাকে। এবং পরবর্তীকালে দেহে কোনো অস্বস্তি এবং মানসিক চাপের ফলে এটি আবার ফিরে আসে। কিন্তু প্রথমবারের তুলনায় পরের বারে তীব্রতা কম হয়। আপনারও যদি এরকম কোন লক্ষণ দেখা যায় তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন এর ফলে এই ভাইরাসটি তাড়াতাড়ি কমে যাবে।

