
ডিহাইড্রেশন হলে কি করা উচিৎ
গ্রীষ্মের প্রচণ্ড রোদ বা শরীরের অতিরিক্ত জল হারানোর কারণে ডিহাইড্রেশনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। শরীরের পর্যাপ্ত পানির অভাব হলে দুর্বলতা, মাথা ঘোরা, শুষ্ক মুখ, গা বমিভাব এবং প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যাওয়ার মতো উপসর্গ দেখা দেয়। এই অবস্থায় অবিলম্বে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ডিহাইড্রেশন হলে প্রথমেই শরীরে পর্যাপ্ত তরল সরবরাহ জরুরি। বিশুদ্ধ পানি, ওআরএস (ওরাল রিহাইড্রেশন সলিউশন), নারকেল জল এবং লেবু পানি দ্রুত উপকারে আসে। এছাড়াও ফলের রস, যেমন তরমুজ, আনারস বা কমলার রস শরীরে তরলের ঘাটতি পূরণে সাহায্য করে।
এসময় চা, কফি কিংবা কার্বনেটেড পানীয় এড়িয়ে চলা উচিত কারণ এগুলি শরীরকে আরও ডিহাইড্রেট করতে পারে। হালকা খাবার খাওয়া এবং শরীরকে আরাম দেওয়াও গুরুত্বপূর্ণ। রোদে বের হওয়া বন্ধ রাখা এবং সম্ভব হলে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বা ছায়াযুক্ত স্থানে থাকা উচিৎ।
যদি দীর্ঘসময় ধরে ডিহাইড্রেশনের উপসর্গ থাকে বা বারবার বমি ও ডায়রিয়া হয়, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। ডিহাইড্রেশন কখনো কখনো জটিল রূপ নিতে পারে, বিশেষ করে শিশু, বৃদ্ধ ও অসুস্থ ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে।
ডিহাইড্রেশন প্রতিরোধে দিনে অন্তত ৮-১০ গ্লাস জল পান করা, সঠিক খাদ্য গ্রহণ এবং প্রচণ্ড গরমে বাইরে বের হলে মাথা ঢেকে রাখা আবশ্যক। নিজের শরীরের সংকেতগুলোকে গুরুত্ব দিন, কারণ জলই জীবনের মূল চাবিকাঠি।

