ফুড পয়জনিং (Food Poisoning) হলে কি করা উচিত?
অস্বাস্থ্যকর বা নষ্ট খাবার খাওয়ার ফলে অনেক সময় মানুষ ফুড পয়জনিংয়ে আক্রান্ত হন। সাধারণত এ সমস্যার লক্ষণ হিসেবে বমি, ডায়রিয়া, পেট ব্যথা ও দুর্বলতা দেখা দেয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এটি ১ থেকে ৩ দিনের মধ্যে সেরে যায়। তবে সঠিক যত্ন না নিলে পরিস্থিতি কঠিন হতে পারে। চিকিৎসকদের পরামর্শ, ফুড পয়জনিং হলে সবার আগে বিশ্রাম নেওয়া জরুরি। শরীর তখন দুর্বল হয়ে পড়ে, তাই অপ্রয়োজনীয় কাজ এড়িয়ে যতটা সম্ভব বিশ্রামে থাকতে হবে।
ডায়রিয়া ও বমির কারণে শরীর থেকে প্রচুর জল বেরিয়ে যায়। ফলে ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই অল্প অল্প করে বারবার জল, ডাবের জল, স্যুপ কিংবা ওআরএস খাওয়া প্রয়োজন। ঠান্ডা পানীয়, অ্যালকোহল ও অতিরিক্ত মিষ্টি পানীয় এড়াতে বলা হয়, কারণ এগুলো জল শূন্যতা আরও বাড়াতে পারে।
ফুড পয়জনিং এর লক্ষণ কিছুটা কমে এলে খাওয়ার ক্ষেত্রে সামান্য সতর্কতা মেনে চলতে হবে। ভাত, নরম খিচুড়ি, টোস্ট, কলা, সেদ্ধ আলু কিংবা আপেল খাওয়া যেতে পারে। তবে ঝাল-মশলাযুক্ত, তেলেভাজা ও দুগ্ধজাত খাবার কয়েকদিন এড়িয়ে চলা উচিত।
ফুড পয়জনিং হলে আক্রান্ত ব্যক্তির কাছ থেকে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাই খাবার খাওয়ার আগে ও রান্নার আগে অবশ্যই সাবান দিয়ে হাত ধোয়া জরুরি। আক্রান্ত ব্যক্তি আলাদা প্লেট-গ্লাস ব্যবহার করলে ঝুঁকি কমে।
এই উপসর্গগুলি দেখা দিলে তৎক্ষণাৎ চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত :-
১.টানা তিন দিনের বেশি ডায়রিয়া চলতে থাকলে।
২.বমি বা পায়খানার সঙ্গে রক্ত এলে।
৩.প্রচণ্ড পেট ব্যথা হলে।
৪.প্রস্রাব খুব কম হলে বা শরীর অতিরিক্ত দুর্বল লাগলে।
চিকিৎসকদের মতে, ফুড পয়জনিং হলে আতঙ্কিত হওয়ার প্রয়োজন নেই। সঠিক যত্ন, পর্যাপ্ত বিশ্রাম, তরল পান ও সহজপাচ্য খাবার গ্রহণ করলে দ্রুত সেরে ওঠা সম্ভব। তবে পরিস্থিতি গুরুতর হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
