সানস্ট্রোকের (Sunstroke) লক্ষণ ও প্রতিরোধ নিয়ে সতর্কবার্তা

গ্রীষ্মের দাবদাহে রোদের তীব্রতা দিন দিন বাড়ছে। এই সময় দীর্ঘক্ষণ বাইরে থাকলে শরীরে দেখা দিতে পারে সানস্ট্রোক বা হিটস্ট্রোকের মতো গুরুতর সমস্যা। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সানস্ট্রোক কোনো সাধারণ অসুস্থতা নয়, বরং এটি একটি জীবন-হানিকর অবস্থা, যার দ্রুত চিকিৎসা প্রয়োজন।

সানস্ট্রোকের লক্ষণ

বিশেষজ্ঞদের মতে, সানস্ট্রোকের প্রাথমিক ও প্রধান লক্ষণ হলো শরীরের তাপমাত্রা হঠাৎ বেড়ে যাওয়া। অনেক ক্ষেত্রে শরীরের তাপমাত্রা ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইটেরও বেশি হতে পারে। এর সঙ্গে দেখা দিতে পারে—

• প্রচণ্ড মাথাব্যথা ও মাথা ঘোরা।

• অস্বাভাবিক দুর্বলতা ও অবসাদ।

• শরীরের ত্বক লালচে ও শুষ্ক হয়ে যাওয।

• দ্রুত ঘাম বন্ধ হয়ে যাওয়া।

• চোখে ঝাপসা দে।

• বিভ্রান্তি, অস্বাভাবিক আচরণ বা অস্পষ্ট কথা বলা।

• বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।

• গুরুতর ক্ষেত্রে হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে যাওয়া বা খিঁচু।

চিকিৎসকরা সতর্ক করেছেন, শিশু, বৃদ্ধ ও দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতায় ভোগা মানুষদের মধ্যে এই ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি থাকে।

প্রাথমিক করণীয়

সানস্ট্রোকের লক্ষণ দেখা দিলেই অবিলম্বে রোগীকে ছায়াযুক্ত বা ঠাণ্ডা জায়গায় নিয়ে যেতে হবে। তাকে শোয়াতে হবে এবং শরীর ঠাণ্ডা করার জন্য ভেজা তোয়ালে বা বরফের প্যাক ব্যবহার করা যেতে পারে। পর্যাপ্ত পানি বা ওআরএস খাওয়ানো দরকার, তবে রোগী অজ্ঞান থাকলে মুখে কিছু খাওয়ানো বিপজ্জনক। দ্রুত চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া অত্যন্ত জরুরি।

প্রতিরোধের উপায়

সানস্ট্রোক প্রতিরোধ করা সম্ভব যদি কিছু সতর্কতা মানা যায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন—

• রোদে বের হলে মাথায় ছাতা বা টুপি ব্যবহার করতে হবে।

• হালকা রঙের, ঢিলেঢালা ও সুতি পোশাক পরতে হবে।

• শিশু ও বৃদ্ধদের বিশেষ যত্নে রাখতে হবে।

• বাইরে কাজ করতে হলে মাঝেমধ্যে ছায়াযুক্ত জায়গায় বিশ্রাম নিতে হবে।

উপসংহার

সানস্ট্রোককে অবহেলা করা মানে নিজের জীবন ঝুঁকির মধ্যে ফেলা। তীব্র গরমে শরীরের যত্ন নেওয়া এবং সঠিক সময়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করলেই এড়ানো সম্ভব মারাত্মক বিপদ।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version