টকদই এর উপকারিতা
মা-মাসি দের কাছ থেকে ছোট থেকেই আমরা টকদই এর উপকারিতার কথা শুনে আসছি। টকদই হজম শক্তি বাড়াতে, হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও চুলের, ত্বকের যত্ন নিতে, ত্বক ভালো করতে মূল্যবান ভূমিকা পালন করে।
১. হজমে সাহায্য করে:
টকদই-এ থাকা ব্যাকটেরিয়া আমাদের পাচনতন্ত্রের ভারসাম্য বজায় রাখে। এটি গ্যাস, অম্বল, এবং বদহজম কমাতে সাহায্য করে।
২. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়:
শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে প্রোবায়োটিক ব্যাকটেরিয়া। নিয়মিত দই খেলে ঠান্ডা, কাশি, সংক্রমণের ঝুঁকি কমে।
৩. ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে:
টকদই-এ প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে যা অনেকক্ষণ পেটে ভরিয়ে রাখতে সাহায্য করে।যার কারণে অপ্রয়োজনীয় খাওয়া কমে যায় এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। ফ্যাট-ফ্রি বা লো-ফ্যাট টকদই ডায়েটের জন্য উপযুক্ত।
৪. ত্বকের যত্ন নেয়:
টকদই-এ থাকা ল্যাকটিক অ্যাসিড ত্বকের মৃত কোষ তুলে ফেলে এবং স্কিনকে মসৃণ ও উজ্জ্বল করে। অনেকেই ঘরোয়া ফেসপ্যাক হিসেবে দই ব্যবহার করেন।
৫. চুলের জন্য উপকারি:
টকদই মাথার খুশকি দূর করতে সাহায্য করে এবং চুলের গোড়া মজবুত করে। অনেকে টকদই ব্যবহার করেন চুলের কন্ডিশনার হিসেবে।
৬. শিশু ও বয়স্কদের জন্য উপকারি:
টকদই সহজে হজম হয়, তাই এটি শিশু ও বয়স্কদের জন্য আদর্শ। তাদের হজম শক্তি উন্নত করে ও পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করে।
সব দিক বিবেচনা করে আমরা বলতে পারি, টকদই একটি প্রাকৃতিক, সহজলভ্য খাবার যা শরীরকে ভেতর থেকে সুস্থ রাখে। এটি হজম শক্তি বাড়ানো থেকে শুরু করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, ত্বক ও চুলের যত্ন, এমনকি হৃদরোগের সমস্যার থেকে দূরে রাখতে সহায়তা করে শরীরকে। তাই প্রতিদিনের খাবারে এক বাটি টকদই রাখলে সুস্থ জীবন যাপন করা সম্ভব।
