পক্স (Chickenpox) হওয়ার লক্ষণ
পক্স বা গুটি বসন্ত (যা বর্তমানে টিকা দেওয়ার কারণে প্রায় নির্মূল হয়েছে) এবং চিকেনপক্স – দুটোই ভাইরাসজনিত রোগ। অনেক সময় সাধারণ মানুষ এ দুটোকে একসাথে “পক্স” বলে থাকেন। তবে এদের লক্ষণগুলো কিছুটা আলাদা।
চিকেনপক্স (chickenpox)-এর লক্ষণ
১. প্রাথমিক লক্ষণ (র্যাশ ওঠার আগে) জ্বর (সাধারণত মাঝারি মাত্রায়, 100–102°F পর্যন্ত)।
• শরীর ব্যথা, মাথাব্যথা।
• শিশুদের ক্ষেত্রে কান্নাকাটি বা অস্বাভাবিক খিটখিটে স্বভাব।
২. ত্বকে ফুসকুড়ি (র্যাশ)
• প্রথমে ছোট লাল দাগ দেখা যায় (সাধারণত মুখ, বুক বা পিঠে শুরু হয়) । কয়েক ঘণ্টার মধ্যে দাগগুলো ফুসকুড়ি বা পানিভর্তি ফোসকায় পরিণত হয় কিছুদিন পর এগুলো শুকিয়ে খোসা পড়ে যায়।
• দাগগুলো শরীরের প্রায় সর্বত্র ছড়িয়ে পড়তে পারে (মাথার চুলের গোড়া, মুখ, হাত-পা, বুক, পিঠ, এমনকি মুখগহ্বর ও যৌনাঙ্গে পর্যন্ত)।
৩. চুলকানি
• তীব্র চুলকানি হয়, বিশেষ করে রাতে।
• খোঁচালে দাগে ইনফেকশন হতে পারে।
৪. অন্য উপসর্গ
• গলা ব্যথা বা কাশি হতে পরে।
• কিছু ক্ষেত্রে বমি বমি ভাব বা হালকা পেট খারাপ হতে পারে। স্মলপক্স (গুটি বসন্ত)-এর লক্ষণ (বর্তমানে আর নেই, তবে জ্ঞানের জন্য জানানো হল)।
• প্রচণ্ড মাথাব্যথা ও শরীর ব্যথা।
• ২–৩ দিনের পর শরীরে লাল দাগ → ফোসকা → পুঁজভর্তি ঘা তৈরি হয়।
(সবগুলো একসাথে শুকোয়)
• শুকানোর পর গভীর দাগ থেকে যায়।
কখন ডাক্তার দেখাতে হবে-
• যদি রোগীর জ্বর ৪–৫ দিনেও না কমে।
• শ্বাসকষ্ট, বুকব্যথা বা অস্বাভাবিক অলসতা দেখা দেয়।
• রোগী গর্ভবতী, নবজাতক বা ইমিউন সিস্টেম দুর্বল হলে।
পক্স ভাইরাসজনিত রোগ, লক্ষণ জ্বর, ফুসকুড়ি ও চুলকানি। সাধারণত সেরে যায়, তবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, বিশ্রাম ও প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে জরুরি।
