স্পন্ডালাইসিস এর ব্যথায় বসে থাকতে কষ্ট হচ্ছে? মুক্তির উপায়
স্পন্ডালাইসিস হচ্ছে একটি বয়স জনিত অবস্থা যা আমাদের মেরুদন্ড কে প্রভাবিত করে ফলে ঘাড়ে, কোমরে ব্যথা আরম্ভ হয়। এটি বয়স্ক জনিত রোগ হলেও আজকাল কম বয়সী ছেলে মেয়েদের মধ্যেও রোগ প্রচলিত।
স্পন্ডালাইসিস এর লক্ষণ গুলি হল
১.ঘাড়, পিঠ ও কোমরে সবসময়ই ব্যথা থাকবে। সকালে ঘুম থেকে উঠে ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
২. দীর্ঘক্ষণ এক ভাবে বসে থাকলে ঘাড়ে ও পিঠে জড়তা লক্ষ করা যায়।
৩. পেশিতে দুর্বল।
৪. অনেক সময়ে নিজের উপর ভারসাম্য রাখতে অসুবিধা হয়।
স্পন্ডালাইসিস এর কারণগুলো হল
১.বংশগত কারণ
পরিবারের কারুর স্পন্ডালাইসিস থাকলে অন্য সদস্যের মধ্যেও এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
২. বার্ধক্যজনিত অবক্ষয়
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মেরুদণ্ড ক্ষয় হতে শুরু করে, ফলে পরবর্তী কালে স্পন্ডালাইসিস এর সমস্যা দেখা দেয়।
৩. অতিরিক্ত ওজন
অতিরিক্ত ওজন মেরুদণ্ডের উপর চাপ সৃষ্টি করে, যা হাড়ের ক্ষয় বাড়িয়ে দেয়।
৪. আঘাত বা ইনজুরি
মেরুদণ্ডে অতীতে কোনো চোট বা দুর্ঘটনা ঘটলে ভবিষ্যতে স্পন্ডালাইসিসের কারণ হতে পারে।
৫. ভারী জিনিস ওঠানো
নিয়মিত ভারী জিনিস ওঠালে মেরুদণ্ডের উপর চাপ সৃষ্টি করে।
স্পন্ডালাইসিস থেকে মুক্তির উপায়
১. গরম ও ঠান্ডা থেরাপি
• হট ওয়াটার ব্যাগ ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
• ঠান্ডা থেরাপি ফোলা ভাব কমাতে কার্যকর।
২. সঠিক ভাবে ঘুমের অভ্যাস
সঠিক ভঙ্গিতে ঘুমানোর চেষ্টা করুন। একদিকে কাত হয়ে হাঁটু একটু বাঁকিয়ে শোয়া উপকারি।
৩. পুষ্টিকর খাদ্যাভ্যাস
দুধ, ডিম, বাদাম, সবুজ শাকসবজি হাড়ের জোর বাড়ায়।
৪. যেই সমস্ত অভ্যাস এড়িয়ে চলা আবশ্যক
• ভারী জিনিস তোলা।
• অতিরিক্ত কম্পিউটারের সামনে বসে এক ভাবে কাজ করা।
• কুঁজো হয়ে বসা বা হাঁটা
৫. নিয়মিত ফিজিওথেরাপি করানো প্রয়োজনীয়।
সঠিক সময়ে স্পন্ডালাইসিস এর লক্ষণ চিনে চিকিৎসা করতে পারলে আমরা ব্যথা কে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারব। বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী স্পন্ডালাইসিস এর ডাক্তার দেখানোর সাথে সাথে চোখের ডাক্তার দেখানো খুব গুরুত্বপূর্ণ।
