হাম (Measles) হওয়ার লক্ষণ
হাম (Measles) হল একটি অত্যন্ত সংক্রামক ভাইরাসজনিত রোগ, যা মূলত শিশুদের বেশি আক্রান্ত করে তবে যেকোনো বয়সেই হতে পারে। হামকে বাংলায় অনেক সময় গোটাজ্বর নামেও ডাকা হয়। এর লক্ষণগুলো ধাপে ধাপে দেখা দেয় এবং সময়ের সাথে স্পষ্ট হয়।
হাম (Measles) হওয়ার প্রাথমিক লক্ষণ গুলো হল-
• জ্বর – প্রথম দিকে হালকা জ্বর শুরু হয়, যা ধীরে ধীরে বেড়ে 102–104°F পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।
• শরীরে দুর্বলতা ও ক্লান্তি – রোগী খুবই দুর্বল বোধ করে।
• হাঁচি-কাশি ও নাক দিয়ে পানি পড়া – সাধারণ ঠান্ডার মতো উপসর্গ দেখা দেয়।
• লাল চোখ ও চোখে পানি আসা (Conjunctivitis) – চোখ লাল হয়ে যায় এবং আলো সহ্য করতে কষ্ট হয়।
• গলায় ব্যথা ও শুষ্ক কাশি – প্রথম দিকে গলা ব্যথা করে এবং কাশি হয়।
হাম (Measles) -এর বিশেষ লক্ষণ-
• প্রথমে কান ও চুলের গোড়ার পাশে দেখা দেয়।
• এরপর মুখ, গলা, বুক, পিঠ এবং পুরো শরীরে ছড়িয়ে পড়ে।
• দাগগুলো শুরুতে ছোট ছোট লালচে হয়, পরে একত্র হয়ে বড় আকার নেয়।
• ৫-৬ দিন পর্যন্ত থাকে, তারপর ধীরে ধীরে মিলিয়ে যায়।
অন্যান্য লক্ষণ-
• ক্ষুধামান্দ্য – খেতে ইচ্ছা করে না।
• ডায়রিয়া বা পেট খারাপ – অনেকের ক্ষেত্রে হতে পারে।
• শ্বাসকষ্ট – গুরুতর অবস্থায় ফুসফুসে সংক্রমণ হয়ে শ্বাসকষ্ট দেখা দিতে পারে।
সংক্ষেপে হাম (Measles) হওয়ার প্রধান চিহ্নগুলো হল-
• দীর্ঘস্থায়ী জ্বর।
• নাক দিয়ে পানি পড়া, কাশি, চোখ লাল হওয়া।
• মুখের ভেতরে সাদা দানা (Koplik’s spots)।
হাম একটি সংক্রামক রোগ, যা জ্বর, কাশি, সর্দি ও শরীরে ফুসকুড়ির মাধ্যমে প্রকাশ পায়। টিকা (MMR Vaccine) গ্রহণই প্রতিরোধের সবচেয়ে কার্যকর উপায়। আক্রান্ত রোগীকে বিশ্রাম, তরল খাবার ও পরিচ্ছন্ন পরিবেশে রাখতে হবে। সচেতনতা ও চিকিৎসকের পরামর্শে জটিলতা এড়ানো সম্ভব।
