ওভারিতে টিউমার (Overian Tumor) হওয়ার লক্ষণ কি?
ওভারিতে টিউমার (Overian Tumor) হলে কীভাবে বুঝবেন?
আমাদের শরীর কিছু ইশারা দেয়, কিন্তু ব্যস্ততার মাঝে বা না জেনে সেগুলো আমরা অবহেলা করি। বিশেষ করে মেয়েদের ক্ষেত্রে ওভারিতে টিউমার (Overian Tumor) হলে শুরুতে বেশিরভাগ সময় কোনো বড় লক্ষণ দেখা যায় না। কিন্তু শরীর ধীরে ধীরে কিছু সংকেত দিতে শুরু করে।
ওভারিতে টিউমার (Overian Tumor) হওয়ার কারণ কি?
১. বংশগত কারণ- যদি পরিবারের মা, বোনের ওভারি টিউমার (Overian Tumor) বা ক্যানসার হয়ে থাকে, তাহলে আপনার মধ্যেও এ ধরনের সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি থাকতে পারে।
২. বয়স বেড়ে যাওয়া- বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ওভারি টিউমার (Overian Tumor) হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে, বিশেষ করে ৫০ বছরের পর।
৩. হরমোনের পরিবর্তন- মাসিক বন্ধ হওয়ার পর বা বিভিন্ন কারণে শরীরে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হলে ওভারি টিউমার (Overian Tumor) হতে পারে।
৪. খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন- অতিরিক্ত ওজন, কম শারীরিক পরিশ্রম এবং খুব বেশি চর্বি বা তেলযুক্ত খাবার খাওয়া এগুলোও শরীরে নানা রকম টিউমার হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়।
৫. ধূমপান -ধূমপান যদি বেশি করেন তাহলে বা রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করলে ওভারিতে টিউমার (Overian Tumor) হওয়ার আশঙ্কা কিছু গবেষণায় দেখা গেছে।
ওভারিতে টিউমারের (Overian Tumor) লক্ষণসমূহ-
১. পেট ফোলাভাব বা অস্বস্তি – প্রায়ই পেট ফুলে থাকা বা ভারী লাগা।
২. তলপেটে বা কোমরে ব্যথা – নিয়মিত নিচের পেটে চাপ বা ব্যথা অনুভব হওয়া।
৩. মাসিক চক্রে গড়-বড় – মাসিক অনিয়মিত, বেশি রক্তপাত বা হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়া।
৪. অল্প খেয়েই পেট ভরে যাওয়া – খাবার খাওয়ার পরই গ্যাস বা অস্বস্তি হওয়া।
৫. প্রস্রাবে সমস্যা – ঘন ঘন প্রস্রাব, বেগ বা জ্বালাভাব।
৬. ওজন পরিবর্তন – হঠাৎ ওজন কমে যাওয়া বা পেটে জল জমে ওজন বেড়ে যাওয়া।
৭. হজমের সমস্যা – গ্যাস, বমিভাব বা খাবার হজমে সমস্যা।
৮. সবসময় ক্লান্তি – কিছু না করেও দুর্বল বা শক্তিহীন লাগা।
কখন ডাক্তার দেখাবেন?
যদি এই উপসর্গগুলো এক সপ্তাহ বা তার বেশি সময় ধরে থাকে এবং বারবার ফিরে আসে, তাহলে অপেক্ষা না করে গাইনোকলজিস্ট বা বিশেষজ্ঞ ডাক্তারকে দেখান। মনে রাখবেন যত আগে ধরা পড়বে, তত ভালোভাবে চিকিৎসা করা যাবে।
উপসংহার
ওভারি টিউমার (Overian Tumor) মানেই ক্যানসার না অনেক সময় সাধারণ সিস্ট হয়ে নিজে থেকেই সেরে যায়। তবে শরীরের কোনো সমস্যাকেই ছোট করে দেখা উচিৎ নয়। আপনি নিজের শরীরের সবচেয়ে ভালো বন্ধু। তাই নিজের যত্ন নিন, নিয়মিত চেকআপ করান, আর দেরি না করে সন্দেহজনক কিছু হলে বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হোন।
