ব্যাসন কিভাবে ত্বকের যত্ন নেয়

ব্যাসন যা মূলত ছোলার ডালের গুঁড়া থেকে তৈরি, প্রাচীনকাল থেকেই ভারতীয় উপমহাদেশে রূপচর্চার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এটি প্রাকৃতিক উপায়ে ত্বকের যত্ন নেওয়ার উপাদান হিসেবে ভীষণ ভাবে পরিচিত। এর পাশাপাশি ব্যাসন ত্বকের নানা সমস্যা দূর করতে এবং ত্বককে উজ্জ্বল, কোমল ও স্বাস্থ্যকর করতে ভীষণ ভাবে সাহায্য করে।

ব্যাসন কিভাবে ত্বকের যত্ন করে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হল

১. ত্বকের গভীর পরিষ্কারক:

ব্যাসন ত্বকের গভীরে জমে থাকা ধুলোময়লা, তেল এবং মৃত কোষ সরাতে সাহায্য করে।

ব্যবহার করার উপায়- ব্যাসনের সাথে একটু কাঁচা দুধ বা গোলাপজল মিশিয়ে মুখে ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেললে ত্বক পরিষ্কার হয়।

২. অয়েলি ত্বকের জন্য উপকারি:

ব্যাসন প্রাকৃতিকভাবে অতিরিক্ত তেল শোষণ করে। তাই যাদের ত্বক খুব তেলতেলে, তাদের জন্য ব্যাসন অত্যন্ত কার্যকর।

ব্যবহার করার উপায়- ব্যাসনের সাথে লেবুর রস মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে মুখে লাগালে ত্বকের তৈলাক্ততা কমে।

৩. ব্রণ ও ফুসকুড়ি নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে:

ব্যাসনের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ রয়েছে যা ব্রণের জীবাণু মারতে সাহায্য করে। এটি নতুন ব্রণ হওয়াও প্রতিরোধ করে।

ব্যবহার করার উপায়- ব্যাসন, হলুদ ও টকদই মিশিয়ে ফেসপ্যাক হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।

৪. ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়:

ব্যাসন নিয়মিত ব্যবহার করলে ত্বকের মৃত কোষ দূর হয় এবং ত্বকে এক ধরনের প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা দেখা যায়।

ব্যবহার করার উপায়- ব্যাসন, কাঁচা দুধ ও সামান্য মধু মিশিয়ে মুখে লাগালে স্কিন টোন উজ্জ্বল হয়।

৫. ত্বকের দাগ ও কালো দাগ হালকা করে:

ব্যাসনের নিরাময় ক্ষমতা ত্বকের কালো দাগ, ব্রণের দাগ বা র‌্যাশ থেকে হওয়া দাগ হালকা করতে সাহায্য করে।

ব্যাসন ত্বকের প্রাকৃতিক যত্নে কার্যকর, যা ত্বক পরিষ্কার করে, ব্রণ ও ট্যান দূর করে এবং উজ্জ্বলতা বাড়ায়। এতে কেমিক্যাল না থাকায় সব ত্বকের জন্য নিরাপদ। দুধ, দই, লেবু বা মধুর সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করলে ত্বক হয় কোমল, মসৃণ ও স্বাস্থ্যজ্জ্বল।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version