গরমে শরীর সুস্থ ও সতেজ রাখার জন্য কোন ফল খাওয়া উচিত
ডালিম:
ডালিম বা বেদানা:
বৈজ্ঞানিক নাম (Punica granatum) এটি একটি ফল। ডালিম (Lythraceae) পরিবারের। ডালিম,বেদানা বা আনার ফলটি রসালো ও এর বীজগুলি খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়, এটি পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ বিশেষ করে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন সি,ও ফাইবার পরিপূর্ণ। ডালিমের নানা স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। যেমন হৃদরোগের ঝুঁকি কমানো রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের সাহায্য করা ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা।
ডালিম বা বেদানার বিস্তারিত তথ্য:
বৈশিষ্ট্য: এটি একটি গুল্ম বা ছোট গাছ যার উচ্চতা ৫ থেকে ১০ মিটার পর্যন্ত হতে পারে।
ডালিমের একাধিক কাঁটাযুক্ত শাখা থাকে।
ডালিমের ফল রসালো ও এর মধ্যে অসংখ্য বীজ থাকে।
ডালিম ফলের রস আন্টিঅক্সিডেন্ট এর একটি বড় উৎস।
ব্যবহার:
ডালিম খাওয়ার কোন বিশেষ নিয়ম নেই এটিকে ফল হিসেবে জুস বা সালাদে ব্যবহার করা যেতে পারে।
ডালিম খাবার সময় কিছু সাধারণ নিয়ম অনুসরণ করা যেতে পারে:যেমন-
সকালে খাওয়া:
ডালিম খাওয়ার জন্য সকালের সময়টা ভালো।
ব্রেকফাস্টে ডালিম একটি সুস্বাদু ও পুষ্টিকর ব্রেকফাস্ট।
দুপুরে খাওয়ার আগে অথবা খাওয়ার পরে ফল আকারে ডালিম খাওয়া যায়।
সন্ধ্যায় ডালিম:
একটু সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর খাবারের পরে ডালিম খাওয়া যেতে পারে।
একটি সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর খাবারের পরে ডেসার্ট হিসেবে ডালিম খাওয়া যেতে পারে।
ডালিমের ক্যালরি বেশি থাকার দরুণ সকালে খেলে তা আপনাকে যথেষ্ট শক্তি দেয়।
ডালিমকে ফল হিসেবে সরাসরি খেতে পারেন।
ডালিম ব্যবহার করা যেতে পারে রস হিসেবে।
এছাড়া ডালিম খাবার কিছু উপকারিতা ও সতর্কতা রয়েছে।
ডালিমের রস পানীয় হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
বিশেষত গ্রেনাভিন সিরাপ, স্বাদ ও লিকারে ব্যবহৃত হয়।
ডালিম ফল বা রস খাদ্য ঔষধি উভয় ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়।
পুষ্টিগুণ:
ডালিম একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর ফল যাতে প্রচুর পরিমাণে অ্যাসিড,শর্করা, ভিটামিন,পলিস্যাকারাইড থাকে।
ডালিম ফল অসংখ্য বাণিজ্যিক তাজা পণ্য তৈরিতে ব্যবহৃত হয় যার মধ্যে রয়েছে সর্বাধিক জনপ্রিয় জুস, জেলি, ওয়াইন, জ্যাম, পেস্ট ও রঙিন পানীয়,সেই সাথে ডালিমের সালাদ।
অন্যান্য ফলের তুলনায় ডালিমে পলিফেনলিক যৌগের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি।
ঔষধ প্রয়োগ:
ঔষধ শিল্পে প্রচুর পরিমাণে ব্যবহার করা হয় যার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রদাহ ডায়াবেটিস-বিরোধী,হেপাটোপ্রটেক্টি, নিউরোপ্রটেকটিভ ও ক্যান্সার-বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
এটি আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির ও লিপিড বিপাক নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
ডালিম ভিটামিন সি ভিটামিন কে ফলিক অ্যাসিড ও ডায়েটারি ফাইবার সমৃদ্ধ। ডালিমের রস পানীয় হিসেবে ব্যবহৃত ।
স্বাস্থ্য উপকারিতা:
প্রদাহের বিরুদ্ধে লড়াই করতে আমাদের সাহায্য করে।
আমাদের হজম শক্তি উন্নত করে শক্তির মাত্রা বৃদ্ধি করে।
আমাদের রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
আমাদের ত্বকের জন্য খুব ভালো।
আমাদের হৃদরোগে ঝুঁকি কমাতে পারে।
এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ যা আমাদের শরীরের কোষকে রক্ষা করে।
গর্ভাবস্থায় ডালিমের রস খাওয়া নিরাপদ।
ব্যায়াম সহনশীলতা বাড়াতে সাহায্য সাহায্য করে।
ক্যান্সার থেকে রক্ষা পেতে আমাদের সাহায্য করে।
আমাদের ঘাড়ের ব্যথা উপশম করে।
আমাদের স্মৃতিশক্তি উন্নত করে।
সতর্কতা:
ডালিমের রস আন্টি হাইপার লিপিডেমিক ওষুধের সাথে গ্রহণ করার সময় রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা সমীক্ষা করা উচিত। এবং ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে খাওয়া উচিত
আপনি যদি ডালিম খেতে চান তবে এই সাধারণ নিয়ম গুলি অনুসরণ করতে পারেন এবং ডালিমের উপকারিতা গুলি পেতে পারেন:
ব্যায়াম সহনশীলতা বাড়াতে সাহায্য করে।
ক্যান্সার থেকে রক্ষা পেতে আমাদের সাহায্য করে
ক্ষতিকারক জীবাণু প্রতিরোধ করতে আমাদের সাহায্য করে।
অন্যান্য তথ্য:
ডালিম একটি অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ফসল,যা পুষ্টি ঔষধি ও শোভাকর গুরুত্বের জন্য পরিচিত।
ডালিমের গাছ বিভিন্ন আবহাওয়ার সাথে মানিয়ে নিতে পারে।
সতর্কতা:
ডালিম খাওয়ার সময় কিছু বিষয় মনে রাখতে হবে।
ডালিম খেয়ে এলার্জি প্রতিক্রিয়া হলে এটি খাওয়া বন্ধ করবেন।
ডালিম খেয়ে হজম সমস্যা হলে খাওয়া বন্ধ করবেন।
উপসংহার:
ডালিম একটি পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ ফল যা বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা প্রদান করে। ডালিম খাদ্য ও ঔষধি উভয় ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়।