ওটস খাওয়ার উপকারিতা

বর্তমান ব্যস্ত জীবনে স্বাস্থ্য সচেতন মানুষের তালিকায় ওটস (Oats) এক অন্যতম জনপ্রিয় খাদ্য হয়ে উঠেছে।

ওটস কী?

ওটস একধরনের পূর্ণশস্য বা হোল গ্রেইন যা সাধারণত প্রাতঃরাশে খাওয়া হয়। এটি প্রধানত ফাইবার, প্রোটিন, ভিটামিন ও খনিজে ভরপুর। সহজে হজমযোগ্য এই খাবারটি বিশ্বের অনেক দেশে স্বাস্থ্যকর ডায়েটের অবিচ্ছেদ্য অংশ।

ওটস খাওয়ার প্রধান উপকারিতা

১. হার্টের যত্নে সহায়ক:

ওটসে থাকা বিটা-গ্লুকান নামক একটি দ্রবণীয় ফাইবার শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের (LDL) পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে, যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।

২. রক্তে চিনি নিয়ন্ত্রণে সহায়তা:

ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ওটস একটি আদর্শ খাবার। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা ধীরে বাড়াতে সাহায্য করে এবং ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়ায়।

৩. ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে:

ওটস খেলে দীর্ঘ সময় পেট ভরা থাকে, ফলে অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা কমে যায়। যারা ওজন কমাতে চান, তাদের জন্য এটি একটি উপকারী

বিকল্প।

৪. হজম শক্তি বৃদ্ধি করে:

ওটসে থাকা ফাইবার পরিপাকতন্ত্রকে সক্রিয় রাখে ও কোষ্ঠকাঠিন্য কমায়। নিয়মিত খাওয়ায় পেট পরিষ্কার থাকে।

৫. ত্বক ও সৌন্দর্যে উপকারি:

ওটস শুধু খাওয়ার জন্যই নয়, এটি ত্বকের যত্নেও ব্যবহৃত হয়। প্রাকৃতিক স্ক্রাব ও ক্লেনজার হিসেবেও ওটস ব্যবহার করা হয়।

ওটস কীভাবে খাওয়া যায়?

• দুধ বা পানিতে রান্না করে

• ফল ও বাদামের সাথে মিশিয়ে

• স্মুদি বা প্যানকেক তৈরিতে

• ওটস উপমা বা চিঁড়ে মতো রান্না করে

কলকাতার এক পুষ্টিবিদ বলেন, “ওটস প্রতিদিন খেলে শরীরের অনেক সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। তবে অবশ্যই সঠিক পরিমাণে ও অন্যান্য পুষ্টিকর উপাদানের সঙ্গে মিলিয়ে খাওয়াটা জরুরি।”

ওটস শুধু এক ধরনের খাদ্য নয়—এটি একটি স্বাস্থ্যকর অভ্যাস। সহজে রান্না করা যায়, পেট ভরিয়ে রাখে, আবার শরীরের যত্নও নেয়। তাই আগামী দিনে স্বাস্থ্য সচেতনতায় ওটস আরও জনপ্রিয় হয়ে উঠবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version