গলব্লাডারের (Gallbladder) সমস্যার লক্ষণ গুলি জেনে নিন

গলব্লাডার হল আমাদের লিভারের নিচে অবস্থিত একটি ছোট আকৃতির অঙ্গ, যার প্রধান কাজ হল লিভার থেকে উৎপন্ন পিত্তরস জমা রাখা এবং প্রয়োজন অনুযায়ী তা ক্ষুদ্রান্ত্রে (Small intestine) পাঠানো, যাতে খাবার হজম হতে পারে খুব সহজেই। যখন গলব্লাডারে কোনো সমস্যা হয়—যেমন গলস্টোন, ইনফ্লেমেশন, ইনফেকশন বা টিউমার—তখন বিভিন্ন ধরণের লক্ষণ দেখা দিতে পারে। এই লক্ষণগুলোকে চিহ্নিত করা খুব গুরুত্বপূর্ণ, কারণ প্রাথমিক অবস্থায় চিকিৎসা নিলে গুরুতর জটিলতা থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।

১. ভীষণ পেট ব্যথা:

• পেটের ডানদিকের ওপরের অংশে বা বুকের নিচে হঠাৎ তীব্র ব্যথা অনুভব হয়।

• অনেক সময় ব্যথা, কাঁধের ডান দিকে বা পিঠের দিকে ছড়িয়ে যায়।

• খাবার খাওয়ার কিছুক্ষণ পর, বিশেষ করে তৈলাক্ত বা ভারী খাবার খেলে ব্যথা বেড়ে যায়।

• ব্যথা একটানা কয়েক মিনিট থেকে কয়েক ঘণ্টা পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।

২. হজমে সমস্যা:

• খাবার হজমে সমস্যা হয়, বিশেষ করে তেল-মশলাদার খাবার খেলে।

• হালকা খাবার খেলেও গ্যাস্ট্রিকের মতো অস্বস্তি হয়।

৩.বমি ও বমি বমি ভাব:

• পেট ব্যথার সাথে সাথে বমি হতে পারে।

• অনেকের ক্ষেত্রে শুধু বমি বমি ভাব থেকেই যায় কিন্তু বমি হয়না।

৪. ভীষণ জ্বর ও কাঁপুনি:

• যদি গলব্লাডারে সংক্রমণ হয়, তবে জ্বর আসতে পারে।

• অনেক সময় জ্বরের সাথে কাঁপুনি ধরে।

• এটি বিপজ্জনক লক্ষণ, কারণ সংক্রমণ শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে যেতে পারে।

. রাতের দিকে সমস্যা বেড়ে যাওয়া:

• অনেকে লক্ষ্য করেন, রাতের দিকে বা ঘুমের মধ্যে হঠাৎ তীব্র ব্যথা শুরু হয়।

• এটি সাধারণত খাবার হজম প্রক্রিয়ার সাথে সম্পর্কিত।

গলব্লাডারের সমস্যা অবহেলা করলে জটিলতা বাড়তে পারে। তাই ব্যথা, জ্বর, জন্ডিস বা হজমে গোলমালের মতো লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত

চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া ভীষণভাবে প্রয়োজন। প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসা নিলে সহজে নিয়ন্ত্রণ সম্ভব এবং গুরুতর ঝুঁকি এড়ানো যেতে পারে।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version