লো প্রেসার হলে কি করা উচিত?

রক্তচাপ (Blood Pressure) আমাদের দেহের একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক, যা হৃদয়ের কার্যক্ষমতা এবং রক্তপ্রবাহকে নির্ধারণ করে। সাধারণত, স্বাভাবিক রক্তচাপ থাকে ১২০/৮০ mmHg। তবে অনেক সময় এটি কমে গেলে দেখা দেয় লো প্রেসার বা হাইপোটেনশন (Hypotension)। মাথা ঘোরা, দুর্বলতা, ঝাপসা দেখা বা অজ্ঞান হয়ে যাওয়া এর সাধারণ উপসর্গ। যদিও অনেকের ক্ষেত্রে এটি ক্ষতিকর না হলেও, নিয়ন্ত্রণে না রাখলে বড় সমস্যার কারণ হতে পারে।

১. শুয়ে পড়ুন ও পা উঁচু করুন:

মাথা ঘোরা বা দুর্বল লাগলে সঙ্গে সঙ্গে শুয়ে পড়ুন এবং পা দুটো একটু উপরে তুলুন। এতে রক্ত সহজে মস্তিষ্কে পৌঁছায়।

২. জল ও ইলেক্ট্রোলাইট গ্রহণ করুন:

ডিহাইড্রেশন অনেক সময় লো প্রেসারের মূল কারণ। পর্যাপ্ত জল, ডাবের জল, ওআরএস বা লেবু-লবণ জল খান।

৩. লবণের পরিমাণ সামান্য বাড়ান:

সোডিয়াম রক্তচাপ বাড়াতে সাহায্য করে। তবে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া অতিরিক্ত লবণ খাওয়া ঠিক নয়।

৪. ছোট ছোট ভাগে খাবার খান:

দীর্ঘ সময় খালি পেটে থাকবেন না। দিনে ৪-৫ বার হালকা ও পুষ্টিকর খাবার খান। খেজুর, কলা, বাদাম, ডিম, দুধ ইত্যাদি খাবার উপকারি।

৫. চা বা কফি খান (সতর্কভাবে):

ক্যাফেইন অস্থায়ীভাবে রক্তচাপ বাড়াতে পারে, তবে এটা অভ্যাসে পরিণত করবেন না।

৬. হঠাৎ উঠে দাঁড়ানো এড়িয়ে চলুন:

দীর্ঘ সময় বসে বা শুয়ে থাকার পর আস্তে আস্তে উঠে দাঁড়ান। হঠাৎ উঠে পড়লে মাথা ঘুরতে পারে।

৭. যদি প্রেশার বারবার কমে যায়:

উপসর্গ নিয়মিত দেখা দিলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

লো প্রেসার কোনো মারাত্মক অসুখ নয়, তবে এটি দেহের ভেতরের ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার এক সতর্কবার্তা। সময়মতো বিশ্রাম, সঠিক খাবার ও হাইড্রেশন এই ছোট ছোট অভ্যাসগুলোই আপনাকে ভালো রাখতে পারে। যদি উপসর্গ বারবার দেখা দেয়, তাহলে দেরি না করে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়াই শ্রেয়। নিজের শরীরের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনাটাই কিন্তু সবচেয়ে বড় সচেতনতা।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version