পুষ্টির অভাব (Lack Of Nutrition) হলে কি করা উচিৎ?

মানুষের শরীর একটি যন্ত্রের মতো, আর সেই যন্ত্র সচল রাখতে প্রয়োজন পুষ্টির (Nutrition), যা আমাদের শুধু শক্তি দেয় না, বরং শরীরের বৃদ্ধি, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও মানসিক ভারসাম্য বজায় রাখে। কিন্তু সব সময় আমরা শরীরের প্রয়োজন অনুযায়ী সুষম খাবার পাই না। অনেক সময় দারিদ্র্য, অসচেতনতা বা পরিবেশগত কারণে শরীর প্রয়োজনীয় ভিটামিন (Vitamin), প্রোটিন (Protein), খনিজ ও অন্যান্য উপাদান থেকে বঞ্চিত হয়। এই অবস্থাকেই বলা হয় পুষ্টির অভাব (Lack Of Nutrition) বা অপুষ্টি। অপুষ্টি হলে শরীর দুর্বল হয়, শিশুদের বৃদ্ধি ব্যাহত হয়, এমনকি সমাজ ও দেশের সামগ্রিক উন্নয়নও বাধাগ্রস্ত হয়। তাই পুষ্টির অভাব হলে কি করা উচিৎ তা জেনে নিন।

১. সুষম খাদ্য গ্রহণ করা:

শুধু ভাত বা রুটি খেলে হবে না, প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন (Protein), ভিটামিন (Vitamin), খনিজ ও ফ্যাট সঠিক অনুপাতে রাখতে হবে। ভাত/রুটি (শক্তির জন্য), ডাল ও ডিম/মাছ/মাংস (প্রোটিনের জন্য), দুধ-দই-বাদাম (ক্যালসিয়ামের জন্য), আর শাক-সবজি ও ফল (ভিটামিন ও খনিজের জন্য) নিয়মিত খাওয়া দরকার।

২. প্রোটিনের (Protein) ঘাটতি পূরণ করা:

প্রোটিন (Protein) শরীরের পেশী ও হাড় গঠন করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

৩. ভিটামিন (Vitamin) ও খনিজের ঘাটতি পূরণ করা:

শরীরের ভেতরের ঘাটতি পূরণে ভিটামিন (Vitamin) ও খনিজ অপরিহার্য। যেমন- ভিটামিন এ (Vitamin A) ,ভিটামিন সি (Vitamin C) , আয়রন (Iron),ক্যালসিয়াম (Calcium)।

৪. বিশুদ্ধ জল ও পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা:

দূষিত জলের কারণে বারবার অসুখ হলে শরীরে পুষ্টি ধরে রাখা যায় না। তাই বিশুদ্ধ জল পান করা উচিৎ।

৫. নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা:

পুষ্টির (Nutrition) অভাব বেশি হলে ডাক্তারকে দেখানো দরকার। অনেক সময় রক্তপরীক্ষা করে আয়রন (Iron), ক্যালসিয়াম (Calcium) বা ভিটামিনের (Vitamin) ঘাটতি জানা যায়। প্রয়োজনে ডাক্তার ভিটামিন ট্যাবলেট বা সাপ্লিমেন্ট খাওয়ার পরামর্শ দেন।

সুস্থ মানুষই সুস্থ সমাজ গড়ে তুলতে পারে। তাই আমাদের উচিৎ প্রতিদিন সুষম খাবার খাওয়া, বিশুদ্ধ জল ও পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা, নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা, এবং পরিবার ও সমাজে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়া। শরীরের যত্ন নেওয়া মানেই নিজের ভবিষ্যৎকে সুন্দর করে তোলা।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version