স্কিন ক্যান্সারের লক্ষণ কি কি?

স্কিন ক্যান্সারের লক্ষণ অনেক সময় সাধারণ ত্বকের সমস্যা যেমন ব্রণ, ফোড়া, গোটার মতনও লাগতে পারে। তাই যদি কোন ক্ষত, দাগ বা গোটা দুদিন সপ্তাহেও না সাড়ে বা রঙ অথবা আকার না বদলায় তবে দ্রুত কোন ডার্মেটোলজিস্ট- এর কাছে ত্বক পরীক্ষা করানো জরুরী।

ত্বকের ক্যান্সার হওয়ার সবচেয়ে বড় কারনটি হল রোদের অতিরিক্ত রশ্মি। অনেকক্ষণ রোদের মধ্যে, বিশেষ করে দুপুরের কড়া রোদের নিচে অনেকক্ষণ থাকলে সূর্যের ক্ষতিকর UV রশ্মি ত্বকের ভেতর ঢুকে কোষ গুলিকে নষ্ট করে দেয়। একদিনে না হলেও, বছরের পর বছর এমন হলে ত্বকে এই সমস্যা জমতে জমতে ক্যান্সারের আকার নিতে পারে। তাছাড়াও, সানবার্ন, অর্থাৎ রোদে পুড়ে লাল হয়ে যাওয়া বা ফোস্কা পড়ে যাওয়ার জন্যও স্কিন ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

ত্বকের রঙ ফর্সা হলে রোদের ক্ষতি বেশি লাগে। ফর্সা ত্বকে মেলানিন কম থাকে, তাই সূর্যের ক্ষতিকর UV রশ্মি ত্বকের ক্ষতি করতে পারে।

পুরনো ক্ষত বা পোড়া দাগ যেগুলো অনেকদিনেও ঠিক হয় না, সেখান থেকেও সমস্যা শুরু হতে পারে।

বিষাক্ত রাসায়নিক, যেমন আর্সেনিক বা কয়লার ধোঁয়া, দীর্ঘদিন ত্বকে লাগলে ক্ষতি হতে পারে।

কোনো গুরুতর অসুখ বা অপারেশনের পরে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়।

আপনার পরিবারে আগে কারোর স্কিন ক্যান্সার থাকলে আপনারও ঝুঁকি বেশি থাকে।

স্কিন ক্যান্সারের লক্ষণ গুলি হল :-

১. নতুন দাগ বা ব্রণ তৈরি হওয়া: যদি হঠাৎ করে ত্বকে নতুন দাগ দেখা দেয়, আর সেটা কয়েক সপ্তাহের মধ্যেও না যায়, তাহলে খেয়াল রাখুন।

২. পুরনো দাগের পরিবর্তন: আপনার আগের দাগ যদি আকারে বড় হয়, প্রান্ত অস্পষ্ট বা খসখসে হয়, রঙ বদলায়, তাহলে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।

৩. ক্ষত বা ঘা না শুকানো: সাধারণত ক্ষত কয়েক দিনের মধ্যে শুকিয়ে যায়। কিন্তু যদি মাসের পর মাস সেই ক্ষত না শুকায়, বারবার রক্ত পড়ে তাহলে ডাক্তার দেখানো জরুরি।

৪. চুলকানি, জ্বালা বা ব্যথা: যদি একই জায়গায় অনেকদিন ধরে চুলকানি, জ্বালা বা হালকা ব্যথা থাকে, সেটা অবহেলা করা উচিত নয়।

৫. ত্বকের অদ্ভুত রঙ বা টেক্সচার: ত্বক হঠাৎ করে মোটা, খসখসে বা কোন অদ্ভুত দাগ হয়ে গেলে সতর্ক জরুরী।

ত্বকের ক্যান্সার প্রায় ধীরে ধীরেই বাড়ে, তাই প্রথম দিকে যদি ধরা পড়ে তাহলে সহজে চিকিৎসা করা যাবে। তাই নিজের ত্বককে চিনুন, রোদে থাকলে সুরক্ষা নিন, আর যেকোনো পরিবর্তনকে গুরুত্ব দিন।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version