ভার্টিগো থেকে বাঁচতে কি কি করা যেতে পারে

ভার্টিগো (Vertigo) মূলত এমন একটি অবস্থা যেখানে মাথা ঘোরা বা চারপাশ ঘুরছে বলে মনে হয়। এটি অনেকer সময় কান-এর ভেতরের ব্যালান্স সিস্টেমের সমস্যা, স্নায়বিক অসুবিধা বা অন্যান্য শারীরিক সমস্যার কারণে হয়। হঠাৎ মাথা ঘোরা, ভারসাম্য হারানো, সবসময় বমি বমি ভাব, ইত্যাদি সাধারণ লক্ষণ।

নিচে ভার্টিগো থেকে বাঁচার জন্য বিস্তারিত উপায় দেওয়া হল

১. ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া:

ভার্টিগোর সঠিক কারণ নির্ণয় করা জরুরি। ইএনটি (ENT) বিশেষজ্ঞ বা নিউরোলজিস্ট পরীক্ষা করে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা করবেন।

২. জল পর্যাপ্ত পরিমাণে খাওয়া প্রয়োজন:

ডিহাইড্রেশন অনেক সময় মাথা ঘোরা বাড়িয়ে দেয়, তাই দিনে অন্তত ২–৩ লিটার জল খাওয়া উচিত।

৩. হঠাৎ মাথা ঘোরানো বা দাঁড়ানো এড়ানো:

হঠাৎ শোয়া থেকে উঠে দাঁড়ালে বা মাথা দ্রুত ঘোরালে ভার্টিগো বেড়ে যেতে পারে। ধীরে ধীরে নড়াচড়া করা ভালো।

৪. সন্তুলিত খাদ্য গ্রহণ:

নুন কম খাওয়া, অতিরিক্ত ক্যাফেইন ও অ্যালকোহল এড়ানো, এবং ভিটামিন B12, ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উপকারি।

৫. বিশেষ ব্যায়াম (Epley Maneuver / Brandt-Daroff Exercise):

ডাক্তার নির্দেশ দিলে বিশেষ ধরনের মাথা ও শরীর ঘোরানোর ব্যায়াম করলে ভারসাম্য পুনরুদ্ধার হয় এবং মাথা ঘোরা কমে।

৬. স্ট্রেস ও উদ্বেগ কমানো:

ধ্যান, গভীর শ্বাস-প্রশ্বাস বা যোগব্যায়াম মানসিক চাপ কমায়, যা মাথা ঘোরা কমাতে সাহায্য করে।

৭. যানবাহন চলাচল বা উঁচু স্থানে সাবধানতা:

ভার্টিগো থাকলে উচ্চতা বা চলমান গাড়িতে দীর্ঘক্ষণ থাকা বিপজ্জনক হতে পারে, তাই সতর্ক থাকতে হবে।

৮. পর্যাপ্ত ঘুম:

প্রতিদিন ৭–৮ ঘণ্টা ভালো ঘুম শরীর ও মস্তিষ্কের ব্যালান্স সিস্টেম ঠিক রাখতে সাহায্য করে।

ভার্টিগো ব্যালান্স সিস্টেমের সমস্যায় মাথা ঘোরা ও বমি ভাব সৃষ্টি করে। পর্যাপ্ত পানি, লবণ- ক্যাফেইন নিয়ন্ত্রণ, ধীরে চলাফেরা, স্ট্রেস কমানো ও ঘুম সহায়ক। BPPV-এর ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞের নির্দেশে ব্যায়াম উপকারি। তীব্র বা দীর্ঘস্থায়ী লক্ষণে দ্রুত চিকিৎসা জরুরি।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version