শলভাশন:বিশ্ব যোগ দিবসে আপনারা নিজেদের ভিতরের শক্তিকে জাগিয়ে তুলুন

শলভাশন

একটি আসন, অসীম উপকার। ছোটো পোজ ,বড়ো উপকার।

শলভাসন, সংস্কৃত শব্দ শালভ (পিঁপড়ে বা লেদ পোকা) এবং আসন (ভঙ্গি) থেকে এসেছে। এটি একটি পেছনের দিকে বেঁকে যাওয়া আসন, যেখানে শরীরের পিছনের দিকের পেশিগুলিকে সক্রিয় করে তোলা হয়। এই আসনটি মেরুদণ্ড, নিতম্ব, উরু, কাঁধ ও ঘাড়ের পেশিগুলিকে শক্তিশালী করে এবং দেহের ভারসাম্য ও ভঙ্গি উন্নত করে।

) শলভাসন করার পদ্ধতি:

প্রস্তুতি:

পেটের উপর শুয়ে পড়বেন, হাত দুটি শরীরের পাশে রাখবেন। পায়ের পাতা মাটিতে রাখবেন। কপাল মাটিতে স্পর্শ করবেন।

২) সঠিক জায়গা নির্বাচন করবেন।

কাঁধের পেছনের দিক টেনে নামাবেন, বুক খোলা রাখবেন। মেরুদণ্ডকে সোজা রাখবেন।

৩) উঠে

শ্বাস নিয়ে মাথা, বুক, হাত এবং দুই পা একসাথে উপরে তুলবেন,পা দুটি সোজা এবং সক্রিয় রাখবেন,আঙুলগুলো পেছনের দিকে টেনে রাখবেন।

৪) নিতম্ব ও উরুর পেশি শক্ত করবেন। পেটের নিচের অংশ মাটিতে ঠেকানো অবস্থায় রাখবেন॥ গলা টানটান রাখবেন- মাথা খুব বেশি ওপরে তুলবেন না।

৫) ধরে রাখবেন ও নামাবেন:

৩-৫ বার শ্বাস- প্রশ্বাস নেবেন অবস্থান ধরে রাখবেন॥ তারপর ধীরে ধীরে নামবেন॥ এই প্রক্রিয়াটি ২-৩ বার পুনরাবৃত্তি করতে পারবেন॥

৬) সমন্বয় বজায় রাখুন:

নিতম্ব ও উরুর পেশি শক্ত করুন, পেটের নিচের অংশ মাটিতে ঠেকানো রাখুন। গলা টানটান রাখুন – মাথা খুব বেশি ওপরে তুলবেন না।

৭) ধরে রাখুন ও নামুন:

৩-৫ বার শ্বাস-প্রশ্বাস নিন অবস্থান ধরে রেখে। তারপর ধীরে ধীরে নামুন। এই প্রক্রিয়াটি ২-৩ বার পুনরাবৃত্তি করতে পারেন।

শলভাসনের উপকারিতা:

১) মেরুদণ্ড, নিতম্ব, উরু ও কাঁধের পেশি শক্তিশালী করে

২) বুক ও পেট প্রসারিত করে, ফলে নিঃশ্বাস-প্রশ্বাস উন্নত হয়।

৩) পেটের পেশি সচল থাকায় হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

৪) স্নায়বিক ভারসাম্য বজায় রাখে, মানসিক চাপ কমায়

৫) পিঠ ও কোমরের ব্যথা হ্রাস করে, বিশেষত যারা দীর্ঘ সময় চেয়ারে বসে কাজ করেন তাদের জন্য এটি বিশেষ উপকারী।

বিশেষ সতর্কতা:

যাদের বিভিন্ন রকমের শারীরিক সমস্যা আছে তারা অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ যোগ শিক্ষক ও ডাক্তারের পরামর্শ মেনে শলভাসন অনুশীলন করবেন।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version