শীর্ষাসন হলো সেই যোগাভ্যাস ,যেখানে শরীর উঠে দাঁড়ায় মাথার উপর আর মন ফিরে আসে নিজের কেন্দ্রে

শীর্ষাসন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য

শীর্ষাসন হলো একটি উন্নত যোগাসন যেখানে শরীর সম্পূর্ণভাবে মাথার উপর ভর করে সোজা দাঁড়িয়ে থাকে। একে “আসনের রাজা” বলা হয় । কারণ এটি দেহ ও মনের উপর গভীর প্রভাব ফেলে।

আসনের নাম:

সংস্কৃত শব্দ “শীর্ষ” মানে “মাথা” এবং “আসন” মানে “অবস্থান” বা “ভঙ্গি”।

শীষাসন করার পদ্ধতি :

একটি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ম্যাট ব্যবহার করবেন।

আপনার হাত দিয়ে একটি ত্রিভুজ তৈরি করুন ।এবং আপনার মাথাটি হাতের ফাঁকে রাখুন ।

আপনার মাথা এবং কনুয়ের উপর ভর দিয়ে ,পা উপরে তুলুন এবং সোজা করুন।

আপনার শ্বাস প্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখুনও স্কিছুক্ষণ এই ভঙ্গিতে থাকুন ।

ধীরে ধীরে পা নামিয়ে আনুন।

শীর্ষাসনের উপকারিতা :

১) আমাদের মস্তিষ্কে রক্তসঞ্চালন বৃদ্ধি করে, যার ফলে স্মরণশক্তি ও মনঃসংযোগ বাড়ে।

২) আমাদের মানসিক চাপ ও উদ্বেগ কমায়।

৩) আমাদের পিটুইটারি ও পাইনোল গ্রন্থিকে সক্রিয় করে।

৪) আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়।

৫) আমাদের হজমশক্তি উন্নত করে।

৬) আমাদের ভয়ার্ত মনোভাব ও ভয় জয় করতে সাহায্য করে

৭) আমাদের ব্যালেন্স ও শরীরের স্ট্রেংথ বৃদ্ধি করে।

সতর্কতা:

গ্লুকোমা, উচ্চ রক্তচাপ, ঘাড়ের সমস্যা বা হার্টের অসুখ থাকলে এই আসন করা উচিত নয়। এটি প্রশিক্ষকের তত্ত্বাবধানে শেখা উচিত। প্রেগন্যান্সি চলাকালীন এড়িয়ে চলা উচিত।

অন্যান্য উপকার:

আমাদের রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে,মানসিক চাপ কমায়, পেশি শক্তিশালী করে,ভঙ্গিমা উন্নত করে,হরমোন গ্রন্থী সক্রিয় করে।

“শীর্ষাসন: আসনের রাজা, জ্ঞান ও শক্তির চূড়ান্ত মিলন”

“মাথার উপর দাঁড়িয়ে প্রশান্তির দিকে – শীর্ষাসনের যোগিক যাত্রা”

“মস্তিষ্ককে জাগাও, মনকে শান্ত করো – শীর্ষাসনের মাধ্যমে”

“উল্টো দুনিয়ায় সত্যিকার ভারসাম্য – শীর্ষাসন”

“শীর্ষাসন: যেখানে মস্তিষ্ক পায় শক্তি, হৃদয় পায় স্থিতি”

“শীর্ষাসন কেবল শারীরিক ভারসাম্যের অনুশীলন নয়—এটি এক গভীর আত্মিক চর্চা, যেখানে ভয়কে জয় করে আত্মবিশ্বাস গড়ে ওঠে।

সাবধানতা :

উচ্চ রক্তচাপ গ্লুকোমা বা হৃদরোগ থাকলে শীর্ষাসন করা উচিত নয় ।গর্ভাবস্থায় শীর্ষাসন করা উচিত নয়।

যদি ঘাড়ে বা পিঠে ব্যথা থাকে তাহলে শীষাসন করা উচিত নয়।

যদি আপনি নতুন হন তাহলে অভিজ্ঞ যোগ-শিক্ষকের তত্ত্বাবধানে শীর্ষাসন অনুশীলন করা উচিত।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version