আজিনোমোটো খাওয়া কি ভালো না খারাপ
আজিনোমোটো একটি ফ্লেভার এনহান্সার বা স্বাদবর্ধক যা গ্লুটামিক অ্যাসিড থেকে তৈরি।
১. কম লবণে বেশি স্বাদ:
আজিনোমোটো খাবারের স্বাদ বাড়ায়, ফলে অতিরিক্ত লবণ না দিয়েই খাবার সুস্বাদু করা যায়। ২০২০ সালের একটি আমেরিকান গবেষণায় দেখা গেছে, যারা আজিনোমোটো ব্যবহার করেন, তারা ৩০–৪০% কম লবণ খান, কিন্তু স্বাদে কোনও কমতি অনুভব করেন না।
২. বয়স্কদের ক্ষুধা বাড়ায়:
বয়স্ক বা অসুস্থ ব্যক্তিদের যাদের ক্ষুধা কমে যায়, তাদের জন্য আজিনোমোটো যুক্ত খাবার বেশি আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে। এটি খাওয়ার আগ্রহ বাড়িয়ে
পুষ্টি গ্রহণে সাহায্য করে।
৩. ক্যালোরি নেই বললেই চলে:
আজিনোমোটোতে ক্যালোরি প্রায় নেই। ফলে এটি খাবারের স্বাদ বাড়ায়, কিন্তু ক্যালোরি বাড়ায় না। যারা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখছেন, তাদের জন্য এটি ভালো উপায়।
৪. ‘চাইনিজ রেস্টুরেন্ট সিনড্রোম’ ভ্রান্ত ধারণা:
অনেকেই বলেন MSG খেলে মাথাব্যথা, ঘাম বা শরীর খারাপ হয়। কিন্তু এফডিএ এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) বারবার বলেছে, সাধারণ মাত্রায় ব্যবহৃত MSG স্বাস্থ্যহানিকর নয়।
৫. হজমে সহায়ক হতে পারে:
কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, গ্লুটামেট লালা ও হজমরস তৈরি করতে সাহায্য করে, যা খাবার হজম ও পুষ্টি শোষণে সহায়তা করে।
সতর্কতা ও সীমাবদ্ধতা
যদিও আজিনোমোটোর কিছু উপকারিতা আছে, তবে অতিরিক্ত ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো। বিশেষ করে উচ্চ রক্তচাপ বা কিডনি সমস্যায় ভোগা মানুষদের ক্ষেত্রে এটি সাবধানে খাওয়া উচিত।
আজিনোমোটো কোথায় ব্যবহৃত হয়?
• স্যুপ ও ব্রথে
• ইনস্ট্যান্ট নুডলসে
• চিপস ও স্ন্যাকসে
• রেস্টুরেন্টের খাবারে
• চাইনিজ, জাপানিজ ও থাই রান্নায়
এছাড়াও জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ডসহ অনেক দেশেই এটি বহু বছর ধরেই নিরাপদভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
শেষ কথা
আজিনোমোটো মানেই খারাপ—এই ধারণা এখন আর বৈজ্ঞানিক নয়। সীমিত ও সচেতন ব্যবহারে এটি খাবারে স্বাদ ও পুষ্টিগুণ যোগ করতে পারে। মনে রাখতে হবে—সংযমেই সুস্বাস্থ্য।
