অ্যাজমা কমানোর সহজ কিছু উপায়

অ্যাজমা বা হাঁপানি শুনলেই অনেকের মনে ভয় ঢুকে পড়ে, হঠাৎ নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসা, বুক ধড়ফড়, কষ্টে ঘুম না হওয়া। সত্যি বলতে, এটা খুবই অস্বস্তিকর একটা অভিজ্ঞতা। তবে চিন্তার কিছু নেই। অ্যাজমা একেবারে চলে না গেলেও কিছু ছোট ছোট পরিবর্তন আর অভ্যাস গড়ে তুললে অনেকটাই কমিয়ে ফেলা যায় এর কষ্ট।

১. পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা:

ধুলো-ময়লা, পোষা প্রাণীর লোম বা ঘরের ছাঁচ আজমার বড় শত্রু। তাই বাড়ি নিয়মিত ঝাঁট-মোছা করুন, বালিশ, চাদর গরম পানিতে ধুয়ে নিন, আর যাদের অ্যালার্জি আছে, তারা পারলে কার্পেট বা ভারী পর্দা এড়িয়ে চলুন।

২. গরম ভাপ:

রাতে বা সকালে গরম পানির ভাপ নিতে পারেন। চাইলে পানিতে কয়েক ফোঁটা ইউক্যালিপটাস তেল বা একটু আদা ফেলে দিন। ভাপে শ্বাসনালী নরম হয়, কফ বের হতে সুবিধা হয়।

৩. প্রাকৃতিক উপাদানে ভরসা রাখুন:

এক চামচ মধুর সঙ্গে এক চিমটি আদার রস আর কিছু তুলসীপাতা চিবিয়ে খেলে প্রদাহ কমে আর ফুসফুসও স্বস্তি পায়। এটা দিনে ১-২ বার খেতে পারেন।

৪. প্রানায়াম:

প্রতিদিন সকালে “অনুলোম-বিলোম” বা “ভ্রামরি” করতে পারেন। এতে ফুসফুসের জোর বাড়ে, মন শান্ত থাকে, আর হঠাৎ শ্বাসকষ্টের আশঙ্কা কমে।

৫. ধূমপান ও ঠান্ডা জিনিস থেকে দূরে থাকুন:

ধূমপান শুধু আজমা নয়, ফুসফুসের সব রোগের সবচেয়ে বড় কারণ। তাছাড়া ঠান্ডা পানি, আইসক্রিম বা ফ্রিজে রাখা খাবার এড়িয়ে চলাই ভালো।

৬. টেনশন কমান, শ্বাস সহজ হবে:

মানসিক চাপ অনেক সময় অ্যাজমা বাড়িয়ে দেয়। তাই মেডিটেশন, হালকা মিউজিক বা পছন্দের কিছু কাজ করুন।

অ্যাজমা নিয়ে বাঁচা কঠিন হতে পারে, কিন্তু অসম্ভব নয়। একটু সচেতনতা, একটু যত্ন, আর নিয়ম মানলেই নিঃশ্বাস আবার স্বাভাবিক ছন্দে ফিরে আসবে। নিজের যত্ন নিন। কারণ, প্রতিটা নিঃশ্বাসই জীবনের দামী উপহার।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version