স্ট্রোকের (Stroke)সম্ভাবনা কমাতে কি করা উচিৎ

স্ট্রোক (Stroke)একটি মারাত্মক স্বাস্থ্যসমস্যা, যা হঠাৎ করেই জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে। এটি মূলত মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল ব্যাহত হওয়ার কারণে ঘটে। তবে সুখবর হল কিছু নিয়মিত অভ্যাস ও জীবনধারার পরিবর্তনের মাধ্যমে স্ট্রোকের (Stroke)ঝুঁকি অনেকাংশে কমানো সম্ভব।

স্ট্রোকের (Stroke) সম্ভাবনা কমানোর উপায়

১. সুষম খাদ্য গ্রহণ:

কম তেল-মশলাযুক্ত, সবজি, ফল, ডাল ও আঁশযুক্ত খাবার বেশি খেতে হবে। অতিরিক্ত লবণ ও চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলা উচিৎ।

২. নিয়মিত ব্যায়াম:

প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটা, যোগব্যায়াম (Yoga) বা হালকা ব্যায়াম করা দরকার। ব্যায়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে ও শরীরে সঠিক রক্তসঞ্চালন নিশ্চিত করে।

৩. রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ:

উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস স্ট্রোকের (Stroke) প্রধান ঝুঁকি। নিয়মিত রক্তচাপ ও রক্তে শর্করার মাত্রা পরীক্ষা করা জরুরী।

৪. ধূমপান ও অ্যালকোহল থেকে বিরত থাকা:

ধূমপান রক্তনালীগুলোকে দুর্বল করে ও স্ট্রোকের (Stroke) ঝুঁকি বাড়ায়। অ্যালকোহলও রক্তচাপ ও হৃদপিণ্ডের ক্ষতি করে।

৫. মানসিক চাপ কমানো:

অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা রক্তচাপ বাড়িয়ে স্ট্রোকের (Stroke) সম্ভাবনা তৈরি করে। ধ্যান, গান শোনা বা প্রিয় কাজ করার মাধ্যমে মানসিক শান্তি বজায় রাখা দরকার।

৬. পর্যাপ্ত ঘুম ও বিশ্রাম:

প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম শরীরকে সুস্থ রাখে। অনিদ্রা বা অতিরিক্ত জাগরণ মস্তিষ্কের ওপর চাপ ফেলে।

উপসংহার

স্ট্রোক (Stroke) কোনো অভিশাপ নয়, বরং আমাদের জীবনযাত্রার প্রতিফলন। নিয়মিত ব্যায়াম, স্বাস্থ্যকর খাবার, মানসিক অশান্তি ও ক্ষতিকর অভ্যাস থেকে দূরে থাকলে স্ট্রোকের (Stroke) ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়। আজ থেকেই সুস্থ অভ্যাস গড়ে তোলা আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব, কারণ এর ফলে স্ট্রোকের (Stroke) সম্ভাবনা কিছুটা হলেও কমানো যেতে পারে।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version