যোগাসন বা যোগ ব্যায়াম আমাদের শরীর ও মনকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে
আজ আমরা একটি প্রাচীন যোগ আসন সিদ্ধাসন সম্পর্কে আলোচনা করবো।
সিদ্ধাসন একটি প্রাচীন যোগ আসন যা শরীর ও মনের জন্য অনেক উপকারী। এই আসনটি করার জন্য নিম্নলিখিত ধাপগুলি অনুসরণ করতে হবে।
কিভাবে সিদ্ধাসন করবেন:
১. প্রথমে একটি পরিষ্কার পরিছন্ন স্থানে একটি ম্যাটে বসবেন,যেখানে আপনি স্বাচ্ছন্দ্যে আসনটি করতে পারবেন।
২. যদি সিদ্ধাসনে বসতে আপনাদের অসুবিধা হয় তাহলে প্রথমে নিশ্চিন্ত করুন যে আপনার পিঠ ও কাঁধ যথেষ্ট খোলা আছে যাতে আপনি সোজা হয়ে বসতে পারেন। এবং আপনার নিতম্ব যথেষ্ট খোলা থাকে যাতে আপনি আরামে বসতে পারেন।
৩. নতুনদের জন্য কর্মক্ষমতার সময়কাল
৪. থেকে ১০ মিনিটের জন্য সিদ্ধাসনের ভঙ্গিতে বসে থাকবেন। উন্নতদের জন্য কর্মক্ষমতার সময়কাল যতক্ষণ আপনি সম্পূর্ণ ভঙ্গিতে ধ্যান করতে চান ততক্ষণ বসে থাকবেন।
৫. একটি পা অন্য পায়ের উপর রাখবেন, করেযাতে আপনার পায়ের তল আপনার যোনির সামনে থাকে।
৬. আপনার পিছনের পা আপনার সামনের পায়ের তলায় রাখবেন।
৭. আপনার হাত আপনার কোমরের উপর রাখবেন।
৮. আপনার মাথা ও ঘাড় সোজা রাখবেন।
৯. মোটা পায়ের মানুষের জন্য পদ্মাসন করা কঠিন, তাই পুরুষ ও মহিলা উভয়ই এই আসনটি অনুশীলন করতে পারেন।
সিদ্ধাসনের উপকারিতা
১. শরীরের ভারসাম্য:
সিদ্ধাসন আমাদের শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
২. মনের শান্তি:
এই আসনটি আমাদের মনকে শান্ত ও একাগ্র করতে সাহায্য করে।
৩. রিরিক্সনের উন্নতি:
সিদ্ধাসন রিরিক্সনকে উন্নত করতে সাহায্য করে।
৪. পেটের সমস্যা দূর করে:
এই আসনটি আমাদের পেটের সমস্যা, যেমন কোষ্ঠকাঠিন্য, দূর করতে সাহায্য করে।
৫. নমনীয়তা বৃদ্ধি:
সিদ্ধাসন আমাদের নিতম্ব হাঁটু ও গোড়ালি প্রসারিত করে ,যা নমনীয়তা ও গতিশীলতা উন্নত করতে সাহায্য করে।
৬. শরীরের শক্তি ভারসাম্য:
সিদ্ধাসন আমাদের শরীরের শক্তির (প্রাণ) প্রবাহের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে, যা সামগ্রিক স্বাস্থ্য ও সুস্থতার উন্নতি করতে পারে।
৭. মানসিক চাপ হ্রাস:
সিদ্ধাসন আমাদের মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।
৮. ভঙ্গি উন্নত করে:
এই আসনটির ভঙ্গিটি আমাদের মেরুদন্ডকে লম্বা করে ও শরীরের ভঙ্গিমাকে উন্নত করে।
৯. শ্বাস-প্রশ্বাস উন্নত করে:
সিদ্ধাসন আমাদের শ্বাস-প্রশ্বাসের উন্নতি ঘটাতে সাহায্য করে।
১০. ঘুমের মান উন্নত করে:
সিদ্ধাসন আমাদের ঘুমের মান উন্নত করতে সাহায্য করে।
১১. পিঠের ব্যথা কমায়:
সিদ্ধাসন আমাদের পিঠের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
সিদ্ধাসনের অপকারিতা বা সতর্কতা
১. হাঁটু বা গোড়ালির আঘাত:
যাদের হাঁটু বা গোড়ালিতে আঘাত আছে তাদের সিদ্ধাসন এড়িয়ে যাওয়া উচিত।
২. আর্থ্রাইটিস:
যাদের আর্থ্রাইটিসের মতো সমস্যা আছে তাদের সিদ্ধাসন আসনে বসে থাকলে অস্বস্তি হতে পারে।
৩. পিঠের আঘাত:
যাদের পিঠে আঘাত আছে তারা এই ভঙ্গিতে বসা এড়াতে পারেন।
পরিশেষে জানাই যাদের শারীরিক যে কোনো সমস্যা আছে তারা অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে এই আসনটি করবেন।