ভেজাল খাবার স্বাস্থ্যের জন্য কতটা অপকারি

খাবার মানেই আনন্দ, স্বাদ আর স্বাস্থ্য এটাই তো আমরা শিখে বড় হয়েছি। কিন্তু এখনকার বাজারে তাকালে মনে হয়, সেই পাঠ বইয়ে রেখে দিতে হবে। কারণ, ভেজাল খাবার এমনভাবে আমাদের জীবনে ঢুকে পড়েছে যে কেউ কেউ মজা করে বলেই ফেলেন“আরে, ভেজাল খাওয়ারও তো উপকার আছে!” শুনে হাসি পায় ঠিকই, কিন্তু এর ভেতর লুকিয়ে আছে এক অদ্ভুত বাস্তবতা।

ভেজাল খাবারের আসল কোনো উপকার নেই, বরং যত দূরে থাকা যায় ততই ভালো।

১. সতর্ক হওয়ার অভ্যাস:

বাজারে কেনা খাবারে ভেজাল পাওয়ার ভয় মানুষকে সবকিছু যাচাই-বাছাই করতে শেখায়।

২. ঘরোয়া রান্নায় ফেরা:

বাইরে থেকে খাবার আনতে ভয় পেলে আবার চুলোর পাশে ফেরা হয়।

৩. বাজার চিনতে পারা:

কোন দোকান ভালো, কোনটার নামেই ‘ভেজাল’ এটা দ্রুত বুঝে নেওয়া যায়।

৪. স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো:

সন্দেহজনক খাবার খাওয়ার পর পরীক্ষা করাতে গিয়ে অন্য অসুখও আগেভাগে ধরা পড়তে পারে।

৫. আইনের দিকে মনোযোগ:

ভেজাল বিরোধী অভিযান নিয়ে সবার আলোচনায় তেজ আসে।

এইসব ‘উপকারিতা’ আসলে বিপদ এড়ানোর ফল, স্বাস্থ্য রক্ষার নয়। ভেজাল খাবার শরীরে ধীরে ধীরে এমন ক্ষতি করে, যার ফল ক্যান্সার থেকে কিডনি বিকল পর্যন্ত গড়াতে পারে।

সত্যি কথা বলতে, ভেজাল খাওয়ার একমাত্র বড় উপকার এটা আমাদের সতর্ক করে দেয় যে আমরা কী খাচ্ছি, কার কাছ থেকে কিনছি। হাসির আড়ালে এই বার্তাটাই মনে রাখা জরুরি। কারণ খাবারের ভেতর যদি মেশে বিষ, তাহলে হাসিটাও তিক্ত হয়ে যায়।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version